• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১, ০১:১৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৫, ২০২১, ০৭:১৮ এএম

আয়ু বাড়ায় চুম্বন

আয়ু বাড়ায় চুম্বন
প্রতীকী ছবি

চুম্বন নিয়ে কত কবিতা, গান, ছবি। কত আলোচনা।

কেন? কী এমন আছে এর মধ্যে?

যে কোনও প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের সবচেয়ে সুন্দর উপায় বলে পরিচিত চুম্বন। প্রকাশ্যে কারও প্রতি ভালবাসা দেখানোরও প্রচলিত উপায় এটি। তবে চুম্বনের মাধ্যমে ঠিক কী অনুভূতি বিনিময় হয়, তা জেনে নেয়া যাক।

তার থেকেই বোঝা যাবে, কেন চুম্বন এত জনপ্রিয় হল।

প্রতীকী ছবি।

চুম্বনের সঙ্গে পরিচয় ঘটে জন্মের পরেই।

স্তন্যপানের সময় থেকেই চুম্বন প্রক্রিয়া চিনে নেয় শিশু। তার মাধ্যমে মায়ের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ স্থাপন হয়। অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে মুখে করে খাবার এনে সন্তানকে খাওয়ানোর চল রয়েছে। এভাবেই ছোট থেকে ঠোঁটে ঠোঁটে ছুঁয়ে কাছে আসা শুরু।

ঠোঁট হল—শরীরের সবচেয়ে অনুভূতিশীল অঙ্গের মধ্যে একটি। তার স্পর্শে ভালবাসা, ভাল লাগা প্রকাশ পায় সহজে।

ঠোঁট হল—এমন একটি অঙ্গ, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পোশাক দিয়ে ঢাকা থাকে না। কিন্তু প্রকাশ্যে ঠোঁট ছুঁইয়ে একটি চুম্বন দু’টি মানুষকে অনেক কাছে আনতে পারে। একে অপরের ঘ্রাণ নেয়া থেকে শুরু করে উষ্ণতা বিনিময়, সবের সুযোগ দেয় চুম্বন।

চুম্বনে কি কি উপকার হয়—

চুম্বনে ক্যালরি খরচ হয়। যদিও ট্রেডমিলে দৌড়ানোর মতো অত দ্রুত নয়, মিনিটে দুই থেকে ছয় ক্যালরি কমে। তবে এই চুম্বন হতে হবে যুগলদের মতো স্থায়ী।

শুধু ক্যালরি খরচই নয়, দেহের সুস্থতাও রক্ষা করতে পারে চুম্বন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : ‘মেডিকল হাইপোথিসিস’ শীর্ষক এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, ‘সাইটোমেগালোভাইরাস’য়ের বিরুদ্ধে নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় চুম্বন। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস ক্ষতিকর নয়। তবে গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে এটি গর্ভের সন্তানের জন্মগত বিকলাঙ্গতার কারণ হতে পারে। চুম্বনের সময় যুগলদের মধ্যে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আদান-প্রদান ঘটে, যা দুজনের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

মানসিক প্রশান্তি : যুক্তরাষ্ট্রের পেনসালভেনিয়ার লাফাইয়েত কলেজের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, চুম্বনের সময় শরীরে ‘অক্সিটোসিন’, ‘ডোপামিন’ এবং ‘এন্ডোরফিনস’ নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। যা মন মেজাজ শান্ত করে, দেয় ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার অনুভূতি। মাত্র ২০ সেকেন্ডের চুম্বনই এই হরমোনগুলো নিঃসরণের জন্য যথেষ্ট।

হৃদযন্ত্রের সুস্থতা : কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ কমাতে কার্যকর চুম্বন। হৃদরোগের পেছনে দায়ী বিষয়গুলোর মধ্যে মানসিক চাপ অন্যতম। তাই রক্তচাপ কমানোর মাধ্যমে চুম্বন হৃদরোগকে দূরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আয়ু বাড়ায় :  যে সব দম্পতি নিয়মিত চুম্বন আদান-প্রদান করেন, তারা অন্যান্যদের তুলনায় পাঁচ বছর বেশি বাঁচেন। চুম্বনের কারণে রক্তে নিঃসৃত উপকারী হরমোনই এই আয়ু বাড়ার কারণ। রয়টার্স ও আনন্দবাজার।

জাগরণ/এমএ