• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১, ০৬:১২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১, ০৬:১২ পিএম

দুটি কবিতা

দুটি কবিতা

দূরবাসী ছলনার বাড়ি

যে হাত দূরের
তার ঘোর আরও দূরে; অদৃশ্য বহুদূর...

আমি অযুত সময় মাপতে থাকি
    ভুলে থাকি সেদিনের শৈশব-কৈশোর, মায়ের চিলতে হাসি।

কখনো সাদা বক ঠোঁট মেলে আকাশে
আকাশ, সে কেবল দূরগামী ছলনার নাম, 
                     ছলনাই কারো কারো প্রেম, কারো আরাধনা।

মায়ার ওপর সেই বাড়ি, 
সেখানে যার বাস সে আমার আত্মার চল, বিশ্বাসের কুটুম
সেখানে কী পিতামহ চাষ করে খামার বাড়ি?

সখা, চলো সেখানে যাই; রোগা-জীর্ণ সময় সেখানে নেই
                                    চলো, সেখানে মাদুর পেতে বসি;
স্বার্থের কোলাহল ছেড়ে ওখানে সাজাই প্রেমের পুস্কনি।

 

মূর্খের সংলাপ

নাচের আসরে কেটেছে অনন্তকাল
বেহুলার নূপুর 
আর 
       আঙুলের কলায়
ঘোরের পিঠে হেলান দিয়ে বসেছিলেন দেবকূল
অমরালয়ের নদী ভাসিয়েছিল লাল ওড়নার প্রেম

জীবনের আধেক বসন্তে কেউ ফেরি করে পুরনো মুদ্রার নাচ
অ্যানিমিয়ার আতঙ্কে প্রতি ঘরের সাজানো পুতুল; আর
দেবালয়ের চেয়ারে বসে থাকেন—
রক্তের দেবতাগণ।

দুপুর গড়িয়ে গেছে। হাড়িতে হাঙর বসেছে প্রেমিকাদের ঘরে
কিছুই অবশিষ্ট নেই আর
বসন্তের বার্তাগুলো বহুরূপী মহামারির কাছে হেরে আছে
সারেং বাড়ি ফিরলেই দেখবে বউয়ের বিষণ্ণ মুখ!

আমরা এখন বিকেলের কাছে মাথা নুয়ে আছি
শত বসন্তের পর তুমি আর আমি আলোহীন মাটির ঘরে
                                    শুনবো মূর্খ মগজের আর্ত-সংলাপ!