• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২১, ০৭:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩১, ২০২১, ০৭:০৬ পিএম

বই আলোচনা

সৈয়দ নূরুল আলমের আত্মজীবনী

সৈয়দ নূরুল আলমের আত্মজীবনী

সৈয়দ নূরুল আলমের লেখা বইটির নাম “আমার জীবন ও উন্নয়নের ৪৪ বছর”।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া জনগোষ্ঠী এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ছিলো অত্যন্ত জটিল। বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা ততদিনে বাংলাদেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে সাউথ এশিয়া পার্টনারশিপ বাংলাদেশ (স্যাপ) তাদের কার্যক্রম শুরু করে, যার অংশ হিসেবে ছিলেন লেখক সৈয়দ নূরুল আলম।

পুরো বইতে লেখক সামাজিক উন্নয়নকর্মী হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছেন। স্যাপ, কোয়েকার, সেইভ দ্যা চিলড্রেন, এডাব, শিক্ষা সম্পদ কেন্দ্রসহ নানা স্থানে তার অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধি তুলে ধরেছেন। দারিদ্র্য বিমোচন করতে গিয়ে জনগণের আস্থাভাজন হওয়া, বিরাগভাজন হওয়া, এমনকি সহকর্মীরা কিভাবে দক্ষতার মাধ্যমে নিজেদের উচ্চতর অবস্থানে নিয়ে যেতে পেরেছেন সকল কিছুই উন্নয়নকর্মী হিসেবে ৪৪ বছরের জীবনে দেখেছেন নূরুল আলম এবং সেগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন লেখনির মাধ্যমে। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হওয়া, পাশাপাশি বিভিন্ন আইন পাশে ভূমিকা রাখার ঘটনাগুলো পাঠকদের আনন্দিত করার পাশাপাশি নীতিনির্ধারক হিসেবে কাজ শুরু করার ব্যাপারে ধারণা দিতেও সক্ষম। এছাড়া, দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে নানা ধরণের উদ্যোগ এবং সেগুলো বাস্তবায়নের সময় বাধাগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেছেন তিনি।

আগামীতে যারা উন্নয়ন খাতে কাজ করতে চান কিংবা যারা এখনও কাজ করছেন, তারা বইটির শেষ দিকের বিভিন্ন নথি থেকে উন্নয়নের সূচনার ব্যাপারে কিছুটা ধারণা পেতে পারেন। আর্থিক উন্নয়নের সাথে মানসিক উন্নয়ন নিয়েও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন নূরুল আলম, যেগুলো তার অভিজ্ঞতার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।

লেখক মাদার তেরেসা স্মৃতি পরিষদ থেকে মাদার তেরেসা সম্মাননা পদক-২০১৪, একুশে স্মৃতি সংসদ থেকে “জ্ঞানতাপস ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্বর্ণ পদক-২০১৫” বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

বইটির মুদ্রণ করেছে আহ্‌সানিয়া প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স এবং সম্পাদনা করেছেন সুবল কুমার বণিক। বইটির মূল্য পাঁচশ টাকা।