নিবারণ! তোকে একটা সুখের খবর দেই
শোন নিবারণ, এই বিরান জীবনে
তোরে শুধু মরা চাঁদের মত
হতাশার কথাই বলে গেলাম।
হিমঘর থেকে কষ্টগুলোকে
টেনে টেনে এনে তোকেই শোনালাম,
কিন্তু কোন দিন এই অভাগা
তোরে একটা সুখের খবরও
দিতে পারলো না!
অথচ কোন দিন অধৈর্য হোস নি তুই,
কুঁচকায়নি তোর ধনুকবাঁকা ভুরু।
সাগরের মত অতল ধৈর্য তোর,
তাই নারে নিবারণ!
আমি জানি,আমাকে নিয়ে
তোর কোন অভিযোগ নেই।
নিবারণ শোন! আজ এই নোনা জলে
ডোবানো জীবনে প্রথমবারের মত
তোরে একটা সুখবর দেই।
বুকে সাহস রাখ, কসম!
মিথ্যা বলছি না, সত্যিই সুখবর!
নিবারণ, তোর মনে আছে নিশ্চয়ই,
বহুদিন, বহু বছর আগে দুঃখ করে
তোকে একটা কবিতা পড়ে শুনিয়েছিলাম,
“আমি মানুষের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকি -
তার ভেতরের কুকুরটাকে দেখবো বলে।”
দিন বদলেছেরে, নিবারণ
এখন আর মানুষের ভেতরের
কুকুরটাকে দেখবার জন্য
মানুষের পায়ের কাছে
বসে থাকতে হয় না।
ঘঁষাকাঁচের জানালা দিয়ে,
ছানি পড়া চোখ নিয়ে,
বহু দূর থেকেই
মানুষের ভেতরের কুকুরটাকে
পূর্ণিমার চাঁদের মত স্পষ্ট দেখা যায়।
নিবারণ, তুই-ই ক -এই বিরান জীবনে
এইটা সুখবর না!