ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বেশির এলাকা ডেঙ্গুর ‘উচ্চ ঝুঁকি’তে রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছেন রাজধানীর সব বাসিন্দাই।
দুই সিটির ৯৮টি ওয়ার্ডে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করতে গিয়ে এ মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিসংখ্যান বলে ব্রুটো ইনডেক্স এবং হাউজ ইনডেক্স দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়ই বেশি। কাজেই উত্তর-দক্ষিণ যেভাবেই বিচার করি না কেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সিটিতে কিন্তু এডিস মশার ব্যাপক উপস্থিতি। আমরা সকলেই কিন্তু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার মধ্যে রয়েছি।’
এদিন দুই সিটির ৯৮টি ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক-মৌসুম জরিপের এ ফল প্রকাশ করা হয়। গত ১৮ থেকে ২৫ জুন রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় এই জরিপ পরিচালনা করেছে।
এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হওয়া মানেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। জরিপে ঢাকা মহানগরীতে এডিসের লার্ভার ঘনত্ব পাওয়া গেছে তার চেয়েও বেশি।
দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় এডিসের লার্ভার গড় ঘনত্ব ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বহুতল ভবনে এই হার আরও বেশি। উত্তর সিটির বহুতল ভবনে এই হার ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ আর দক্ষিণে ৪১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
ঢাকার উত্তরে ৫৪টি এবং দক্ষিণে ৭৫টিসহ মোট ওয়ার্ড রয়েছে ১১৯টি। এর মধ্যে ৫৭টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে দক্ষিণ সিটির ২৮টি এবং উত্তর সিটির ২৭টি ওয়ার্ড রয়েছে।
রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আশেপাশের এলাকায়।
৯৮টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডের ৪১৪৯টি বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫৪৯টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
ঝুঁকিতে থাকা উত্তর সিটির ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২, ৩, ৫, ৬, ১০, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৫, ৩৭ ও ৩৮।
দক্ষিণ সিটির ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ড হলো- ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৫, ১৬, ১৮, ১৯, ২২, ২৩, ২৬, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৪১, ৪৪, ৪৬, ৪৮, ৫০, ৫১, ৫৪, ৫৫ ও ৫৭।
জাগরণ/রাজধানী/ডেঙ্গুপরিস্থিতি/এসএসকে