ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার (১০ মে) তিনজনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী। তাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শুক্রবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ এজাহারভুক্ত তিন আসামি ইউসুফ (২০), মেহেদী (২৪) ও আকমল বিশ্বাসকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত চার মাস ধরে পাশেরসালথা উপজেলার বলোভর্দী ইউনিয়নের ১৯ বছরের ওই তরুণীর সাথেবোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বনচাকী গ্রামের ছবর শেখেরছেলে মো. ইউসুফ শেখের (২০) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বুধবার(৮ মে) বিকেল ৩টার দিকে ইউসুফ ওই তরুণীকে বিয়ে করার কথা বলে মোবাইল ফোনে বোয়ালমারীর পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া বাজার এলাকায় আসতে বলে। তিনি ময়েনদিয়া বাজারে আসার পর ইউসুফ তাকে নিয়ে ময়েনদিয়া বাজার এলাকার হাবুল শেখের ছেলে মেহেদী হাসানের (২৪) বাড়িতে তোলে। ওইদিন রাতে ইউসুফ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ওই বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখে। পরদিন বনচাকী গ্রামের আকমল বিশ্বাস (৩৫) ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
ঘরে আটকে রাখা এবং ধর্ষণের খবরটি ওই তরুণী মেহেদীর ফুপাতো ভাইয়ের মাধ্যমে বোয়ালমারী থানা পুলিশকে জানান।
বোয়ালমারী থানার পুলিশ গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে মেহেদীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে এবং ইউসুফ ও মেহেদীকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান বলেন, আটক ইউসুফ ও মেহেদীকে এ মামলায়গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি আকমলকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এনআই