পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০১৯, ০১:০৩ পিএম পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত

চার দিনের প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

কলমাকান্দা উপজেলার পাচগাঁও এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ভারতীয় সীমান্তবর্তী রংছাতি, খারনৈ ও লেংগুরা ইউনিয়নের অন্তত ১৮টি গ্রামের প্রায় ৪ হাজার পরিবার ও তাদের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ১২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। ভেসে গেছে প্রায় ১৫০টি পুকুরের মাছ। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। 

বুধবার থেকে টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বেড়ে চলছে নেত্রকোনার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। এরমধ্যে কলমাকান্দার পাচগাঁও এলাকায় নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ভারতীয় সীমান্তবর্তী রংছাতি, খারনৈ ও লেংগুরা ইউনিয়নের এপর্যন্ত অন্তত ১৮ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ি ঢলে দুর্গাপুর উপজেরার গাঁওকান্দিয়া, ভাকলজোড়া, কাকৈরগড়া ও বিরিমিরি  ইউনিযনের কমপক্ষে ৭টি গ্রামের ১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এই দু’উপজেলার উজানে কোন কোন এলাকা পানি কিছুটা কমছে, আবার কিছু জায়গায় বাড়ছে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

হুমকির মুখে রয়েছে শ্যামগঞ্জ বিরিশিরি সড়ক। সম্প্রতি তিনশো ষোল কোটি টাকা ব্যয়ে শ্যামগঞ্জ বিরিশিরি সড়কের সাইত্রিশ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হয়েছে। এ সড়কটি নির্মাণের ১ মাস যেতে না যেতেই পানির প্রবল তোড়ে ইন্দ্রপুর নামক স্থানে ভাঙনের কবলে পড়েছে। যে কোন সময ভেঙে এ সড়কের সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। অভিযোগ উঠেছে সেতুটিতে গার্ডার ওয়াল না দেয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে সড়ক।

তবে সড়কের কাজ এখনো শেষ হয়নি। পানি চলে আসায় গার্ডার ওয়াল দেয়া যায়নি। ভাঙন ঠেকানো কাজ চলছে বলে জানান নেত্রকোনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদার।

পাহাড়ি ঢলের কারণে সেতুটি হুমকির মুখে পড়েছে সেতুটি। সড়ককে যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে জানিয়ে সেতুটি রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনের সংসদ মানুম জুমদার পাহাড়ি ঢলে পানিতে কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং রংছাতিসহ বিভিন্ন ইউনিযনের দুর্গত মানুষের মাঝে ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন, রংছাতি উইপি চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুনসহ অন্যরা।

কেএসটি