নরসিংদীর রায়পুরায় ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে সালিসে ধর্ষিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে ধর্ষক আবু সাঈদের পরিবার। সালিসে স্থানীয় পাড়াতলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাছুদুর রহমান ও বর্তমান ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে এই প্রস্তাব দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ধর্ষিতার স্বজনরা জানান, ধর্ষকের পরিবারের ডাকা সালিসের মাধ্যমে মামলা তুলে নিতে পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহর ও নগদ তিন লাখ টাকার বিনিয়য়ে ধর্ষক আবু সাঈদের সাথে মেয়েটির বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ধর্ষিতার পরিবার এই প্রস্তাব মেনে নেয়নি।
ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষিতার বিয়ের প্রস্তাবের কোনো দরবারে এমন কথাবার্তা ও সভায় তার উপস্থিতির বিষয়টি অস্বীকার করেন পাড়াতলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাছুদুর রহমান।
গত ৫ জুন অসুস্থ বাবার জন্য পাশের পাড়াতলী বাজার থেকে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কৃষ্ণনগর ও গুচ্ছ গ্রামের মাঝমাঝি একটি নির্জন স্থানে ওত পেতে থাকা আবু সাঈদ নামের এক যুবক মেয়েটির মুখ চেপে ধরে। পরে জোরপূর্বক রাস্তার পাশে একটি পাটক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর হত্যার উদ্দেশ্যে ধর্ষক তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
এদিকে মেয়ের বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় মা খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এ সময় মেয়ের আর্তচিৎকার শুনে ছোট বোন এগিয়ে এলে ধর্ষক আবু সাঈদ পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পরদিন ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ধর্ষক আবু সাঈদকে আসামি করে রায়পুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসিনুল কাদির জানান, ধর্ষণের মামলা সালিসের মাধ্যমে সমাধানের কোনো সুযোগ নেই। আসামিকে ধরতে চেষ্টা চলছে।
এনআই