রাজশাহীর পবায় ঘুমন্ত স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় হাজির হয়েছেন স্বামী রেন্টু আহমেদ রওফে শরিফুল (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর দামকুড়া থানায় হাজির হন রেন্টু।
অভিযুক্ত রেন্টু দামকুড়া থানাধীন কলারটিকর এলাকার আবুল কাশেম ওরফে খোকার ছেলে।
এর আগে রাত ২টার দিকে ঘুমন্ত স্ত্রী লাভলী বেগমের (২৮) মাথায় আঘাত করেন অভিযুক্ত রেন্টু। পরে গলা ও দুই পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
শোবার ঘরে স্ত্রী মরদেহ রেখে ওই রাতেই প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের থানায় পৌঁছান রেন্টু। দুই সন্তানের জননী লাভলী বেগম পরকীয়ায় জড়িয়েছেন এমন অভিযোগে এই কাণ্ড ঘটান তার স্বামী।
নিহত লাভলী পবার সাইরপুকুর এলাকার বাবলু মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ বলছে, রাতে থানায় এসে রেন্টু স্ত্রীকে হত্যার কথা জানান। রাতেই তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে তার বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, পেশায় নির্মাণ শ্রমিক রেন্টু। কাজের জন্য প্রায়ই তাকে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। তার অভিযোগ, তার অনুপস্থিতিতে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। আর এ জন্যই স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন তিনি।
ওসি আরো জানান, সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাবলু মিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় দুপুরের দিকে অভিযুক্ত রেন্টুকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা।
কেএসটি