ধর্ষকের মুখে চুন-কালি লেপে গলায় জুতা মালা দিলো শিক্ষার্থীরা

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০১৯, ০৯:৪৯ পিএম ধর্ষকের মুখে চুন-কালি লেপে গলায় জুতা মালা দিলো শিক্ষার্থীরা
অভিযুক্ত পাপ্পুর মুখে চুন-কালি মেখে গলায় জুতার পরিয়ে দেয় বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা -ছবি : ফেসবুক থেকে নেয়া

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষার্থী পাপ্পু কুমার মণ্ডলের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ৩ জুলাই (বুধবার) ওই ঘটনার পর ৪ জুলাই ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু তদন্তের নামে দীর্ঘ ১৮ দিন সময়ক্ষেপন করা হয়। তবে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১৫ জুলাই (সোমবার) অভিযুক্ত পাপ্পুর মুখে চুন-কালি মেখে গলায় জুতার পরিয়ে দেয় বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে ওই ছবি সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনা জানাজানি হয়। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী খুলনা কলিজিয়েট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করে। আর পাপ্পু কুমার মণ্ডল ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতো। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৩ জুলাই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের  (খুবি) চারুকলা অনুষদে চিত্রকলা প্রদর্শনী ছিল। পাপ্পু কুমার মণ্ডল ওইদিন তার পরিচিত এক ছাত্রীকে প্রদর্শনী দেখানোর কথা বলে ক্যাম্পাসে ডেকে আনে। ওই কলেজছাত্রী চারুকলায় আসার পর পাপ্পু তাকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। তাতে করে ছাত্রীটি চারুকলার লাইব্রেরিতে অচেতন হয়ে পড়ে এবং পাপ্পু তাকে ধর্ষণ করে সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়। পাপ্পু মণ্ডল বিশ্ববিদ্যালয়ের খানজাহান আলী হলে নিজের কক্ষে আত্মগোপন করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই ছাত্রী লাইব্রেরির সিঁড়িতে কান্নাকাটি করতে থাকে। এ সময় প্রহরী তাকে দেখতে পান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার অধিবাসী পাপ্পু কুমার মণ্ডল বঙ্গবন্ধু পাঠক ফোরামের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। তিনি প্রিন্ট মেকিং ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালযের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানাজানি না করার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেয়া হয় বলেও ওইসূত্র দাবি করেছে।  

বিশ্বদ্যিালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা দৈনিক জাগরণকে বলেন, ৩ জুলাই রাতে ঘটনার পর ৪ জুলাই মেয়েটি লিখিত অভিযোগ করে। ৫ ও ৬ জুলাই ছুটি থাকায় ৭ জুলাই মেয়েটির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে পাপ্পু মণ্ডলের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। তদন্তের কাজ ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে পাপ্পুকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। ড. হোসনে আরা জানান, তারা ওই ছাত্রীকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ছাত্রী কেন মামলা করেনি তা জানা যায়নি। 

এসএমএম

আরও সংবাদ