কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে চর ও দীপ চরগুলোর অনেক বাড়িঘর থেকে এখনো পানি নামেনি। এছাড়াও অনেক বাড়িঘরের চারিদিক পানি থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যেসব বাড়িঘর থেকে পানি নেমেছ, সেসব বাড়িতে বানভাসী মানুষজন ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে এখনও অনেক বাড়ি-ঘর বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠেনি।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর মানুষজন দীর্ঘদিন পানিবন্দি জীবন যাপন করায় এ সব এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। চারণভূমি তলিয়ে গো-খাদ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষেরা তাদের গবাদি পশুর খাদ্য জোগান দিতে পারছেন না।
বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে ডায়রিয়া, চর্মসহ নানা পানি বাহিত রোগ আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষজন।
সরকারি ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তবে তা বিপুল সংখ্যক বন্যা কবলিত মানুষের জন্য অপ্রতুল।
কেএসটি