ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় দুই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। এর আগে একই মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নরসিংদীর বাসিন্দা প্রধান আসামি আকাশ, ময়মনসিংহের খাগডহরের বাসিন্দা মারুফ, মুক্তাগাছার লক্ষীখোলার মিম এবং মুজাটির বাসিন্দা হৃদয়। তারা ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বিদ্যাগঞ্জ এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স আদায়কারী হিসাবে কাজ করে।
মামলার তদন্তকারী মুক্তাগাছা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ধর্ষণের শিকার একজন দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এবং আরেকজন অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী। দুজনই জামালপুর জেলার নরুন্দির বাসিন্দা।
জানা যায়, গত ২১ জুলাই দুপুরে বাড়ি থেকে তারা সিএনজি চালিত অটো-রিকশাযোগে মুক্তাগাছা ২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের পার্কে বেড়াতে আসেন। সেখানে পূর্ব পরিচিত আকাশ এবং মারুফ এসে তাদের সঙ্গে দেখা করে। রাত ৮টার দিকে তারা তাদের মোটরসাইকেলে করে মুক্তাগাছার কান্দিগাঁও এলাকায় চানু মিস্ত্রি নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। ঐ বাড়িতে এবং বাড়ির পাশে ৭ জনসহ অজ্ঞাতরা তাদেরকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তাদের ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা সড়কের নবাব সিএনজি স্টেশনের ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় গত ২৩ জুলাই ধর্ষণের শিকার তরুণীর বোন বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিদের আশুলিয়া, সাভার এবং ময়মনসিংহের ঘুন্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আলী মাহমুদ জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কেএসটি
