ভোলায় ধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০১৯, ০৩:১৯ পিএম ভোলায় ধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

ভোলায় দলবদ্ধ ধর্ষণের হোতাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আতোয়ার রহমান। বুধবার (৭ আগস্ট) জনাকীর্ণ আদালতে দীর্ঘ শুনানি শেষে তিনি এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের জুলাই মাসে ভোলা রাজাপুরে এক মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে রাতভর পালাক্রমে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন ভূমিদস্যু রফিক মাল, ভুট্টু মেম্বার, বাশারসহ আরো পাঁচজন। ধর্ষণের ২ দিন পর ২০১১ সালে মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে ভোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ভোলার থানা দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ওই চার্জশিট গ্রহণ করে রফিক মাল, ভুট্টু মেম্বার, বশার সরদার, বাদশা ও কবিরের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। চার্জ শুনানির পর দীর্ঘদিন ধরে এ মামলাটির সাক্ষী গ্রহণ করা হয়। অবশেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ বুধবার ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আতোয়ার রহমান চাঞ্চল্যকর এই মামলার যুগান্তকারী এ রায় ঘোষণা করেন। 

রায় শেষে সংক্ষিপ্ত এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটা আমার কর্তব্য। আমি আমার কর্তব্য অনুযায়ী কাজ করেছি। চেষ্টা করেছি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার। সর্বোপরি যাদের দানে আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের জাজ- সেই মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ধর্ষণ মামলায় এ রায় দিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।

মেয়েটির পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মানবতাবাদী পিপি গোলাম মোরশেদ কিরন তালুকদার। তিন বলেন, আজকের এই রায় ভোলার নির্যাতিত মানুষের জয়। রায়ে রফিক মাল, ভুট্টু মেম্বার, বশার সরদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের জেল দেয়া হয়েছে এবং সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় বাদশা ও কবিরকে খালাস প্রধান করা হয়েছে।

কেএসটি


 

আরও সংবাদ