বাড়ি ফেরার পথে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০১৯, ০৮:২৮ পিএম বাড়ি ফেরার পথে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ
ধর্ষক লেগুনা চালক রাজ্জাক  -  ছবি : জাগরণ

বরিশালের বানারীপাড়ায় দুই লেগুনা চালকসহ তিন লম্পট কর্তৃক রাতভর ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী যাত্রী। এ ঘটনায় বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে রাজ্জাক (৩৫) নামের ধর্ষক লেগুনা চালককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

আটককৃত রাজ্জাক বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে বলে জানিয়েছেন বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান।

ওসি জানান, বানারীপাড়ার সীমান্তবর্তী পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার গাঁওখালী গ্রামের নৌকায় ভাসমান সবজি বিক্রেতা এক প্রতিবন্ধীর ১৫ বছর বয়সী কিশোরী পয়সারহাটে খালার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি গাঁওয়াখালী গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পয়সারহাট থেকে ট্রলারযোগে বিশারকান্দিতে আসে।

ওসি বলেন, কিশোরীর কাছে কোনো টাকা ছিল না। তাই সে বিশারকান্দি লেগুনা স্ট্যান্ডে চালক রাজ্জাককে মামা বলে সম্বোধন করে বৈঠাঘাটা তালুকদার উলা খেয়াঘাটে পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানায়। চালক তাকে গাড়িতে তুলে গন্তব্যে পৌঁছে না দিয়ে বানারীপাড়া ইলুহার ইউনিয়নের জনতা বাজার-সংলগ্ন তার চাচাতো ভাই রশিদের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের পর ধর্ষণ করে।

এদিকে রাত ১০টার দিকে জনতা বাজার থেকে অপর একটি লেগুনায় তুলে দেয়া হয় ধর্ষিতা কিশোরীকে। ওই লেগুনার চালক বিশারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মাসুমও কিশোরীকে গন্তব্যে পৌঁছে না দিয়ে বিশারকান্দি লেগুনা স্ট্যান্ডের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে মাসুম ও তার অপর এক সহযোগী রাতভর ধর্ষণ করে কিশোরীকে। পরে ভোররাতে মাসুম ধর্ষিতা কিশোরীকে বৈঠাঘাট তালুকদার উলা খেয়াঘাটে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।

তখন খেয়াঘাটে ধর্ষিতা কিশোরী অসুস্থ হয়ে কান্না করতে থাকলে স্থানীয়দের কাছে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। পরে কিশোরীর কাছ থেকে রাতভর পথে পথে ধর্ষণের বর্ণনা শুনে বানারীপাড়া থানার পুলিশকে অবহিত করে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই বুধবার ভোরে কিশোরীর প্রথম ধর্ষক রাজ্জাক বৈঠাঘাট তালুকদার উলা খেয়াঘাটে যাত্রী নিতে এলে স্থানীয়রা তাকে ধরে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ এলে তাকে তাদের কাছে হস্তান্তর করে।

বানারীপাড়া থানার ওসি বলেন, ধর্ষক লেগুনা চালক রাজ্জাক ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে। অপর লেগুনা চালক মাসুম ও তার সহযোগীকেও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তা ছাড়া কিশোরীর পরিবারের লোকজন থানায় এসেছেন। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন ওসি।

এনআই

আরও সংবাদ