কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং উরুবুনিয়া কাটাখাল এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা দুই মাদককারবারি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও দুটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত রোহিঙ্গারা হলেন- উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ৭ নম্বর ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের ছেলে মো. সাকের (২২) ও টেকনাফ মুচনী রোহিঙ্গা শিবিরের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে নুর আলম (৩০)।
বিজিবির দাবি, এ ঘটনায় তাদের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
টেকনাফ-২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবুনিয়া গ্রামের পূর্বপাশে নাফনদীর কাটাখাল দিয়ে ইয়াবার বড় একটি চালান বাংলাদেশে ঢুকবে। এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় নাফনদী পার হয়ে একটি নৌকা কাটাখালের দিকে আসতে দেখে তাদের চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
একপর্যায়ে গুলিবিনিময় থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ, ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক,তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও দুইটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ দু’টির পরিচয় শনাক্ত করা হলে দু’জনই রোহিঙ্গা বলে জানা যায়।
বিএস