প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ, প্রেমিকসহ আটক ২

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯, ০৭:৪১ পিএম প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ, প্রেমিকসহ আটক ২

নরসিংদীর রায়পুরায় বিয়ে করার আশ্বাসে ডেকে নিয়ে এক গার্মেন্টকর্মীকে (২১) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগে প্রেমিকসহ দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। নির্যাতিত ওই নারী গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ও গাজীপুরের একটি গার্মেন্টের শ্রমিক। 
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রায়পুরা উপজেলার গৌরিপুরা তালুককান্দি গ্রামের সূর্যের মোড় এলাকার একটি গ্যারেজে এ দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলো- নির্যাতনকারী প্রেমিক রায়পুরা উপজেলার বেগমাবাদ হুগলাকান্দি গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া (২০) ও তার সহযোগী একই উপজেলার ঘাগটিয়া আলগী এলাকার হোসেন উদ্দিনের পুত্র শামীম মিয়া (১৯)। 
এ ঘটনায় অপর অভিযুক্ত একই উপজেলার বেগমাবাদ পল্টন এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, স্বামী পরিত্যক্তা ও এক সন্তানের জননী গাজীপুরে গার্মেন্টকর্মীর সঙ্গে দেড় বছর আগে রায়পুরার শিপন মিয়ার ফোনে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে শিপন তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে ফোন করে রায়পুরায় আসার প্রস্তাব দেয়। শিপনের কথায় বিশ্বাস করে রোববার রাতে গাজীপুরের বোর্ড বাজার হতে রায়পুরায় আসেন ওই নারী। রায়পুরার নীলকুঠি বাসস্ট্যান্ডে নামার পর শিপন ও তার দুই সহযোগী শামীম এবং রুবেল ওই নারীর সঙ্গে দেখা করে। 
পরে তারা সিএনজি অটোরিকশাযোগে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর নেমে পায়ে হেঁটে গৌরিপুরা তালুককান্দি গ্রামের সূর্যের মোড় এলাকার একটি গ্যারেজে নিয়ে বসিয়ে রাখে। সেখানে বসানোর কারণ জানতে চাইলে তারা ওই নারীকে জানায় রাতের খাবার খাওয়ার পর বাসায় নিয়ে যাবে। পরে তারা ওই নারীকে ভেতরে রেখে বাইরে থেকে গ্যারেজটি তালাবদ্ধ করে বাইরে বের হয়ে যায়। 

এর কয়েক মিনিট পর প্রেমিক শিপনসহ তারা তিনজন ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় চিৎকার করার চেষ্টা করলে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয় এবং কান্নাকাটি না করে সকালে চলে যাওয়ার জন্য বলে শিপন।

এদিকে, রাতের এক পর্যায়ে ওই নারী গ্যারেজ থেকে পালিয়ে বের হয়ে আসেন। পরে গ্রামের পাহাড়ায় নিয়োজিত স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে রাতেই থানায় জানানো হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই আসামিকে আটক করে। 

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোজাফফর হোসেন জানান, এ ঘটনায় নির্যাতি ওই নারী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। নির্যাতিত ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

কেএসটি
 

আরও সংবাদ