গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) করোনাভাইরাস (কেভিড-১৯) এ আক্রান্ত হওয়ায় লকডাউন করে দেয়া হয়েছে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ‘প্যাথলজি ও বহির্বিভাগ ব্লক’।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকালে লকডাউন করে দেয়া হয়। এর আগে শনাক্ত হওয়া ওই টেকনোলজিস্টকে গাইবান্ধা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অস্থায়ী আইসোলেশন কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
আক্রান্ত টেকনোলজিস্টের সংস্পর্শে আসা প্যাথলজি বিভাগের (ল্যাব) ৩ জন, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট ১ জন ও এমএলএসএস ১ জনকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
করোনায় শনাক্ত হওয়া ল্যাব টেকনোলজিস্টের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর সদর এলাকায়।
জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে তারা করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করার কাজে প্যাথলজি বিভাগে যুক্ত ছিলেন। পরে এসব নমুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে পাঠাতো হতো রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) করোনা শনাক্তের পিসিআর ল্যাবে।
ওই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের (ল্যাব) করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ২২ এপ্রিল (বুধবার) তার নমুনা সংগ্রহ করে রমেক এ পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে তার করোনা শনাক্ত হয়।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে প্যাথলজি বিভাগ ও বহির্বিভাগ ব্লক ‘লকডাউন’ ঘোষণা করে তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়।
গাইবান্ধা জেলার করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এ সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুমের কর্তব্যরত ডা. মরিয়ম বলেন, বুধবার দুপুর পর্যন্ত করোনাভাইরাস (কেভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছেন ১৯ জন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। আক্রান্ত ১৯ জনের মধ্যে সদরের ৩ জন, সাদুল্যাপুরের ৩ জন, সাঘাটার ২ জন, সুন্দরগঞ্জের ১ জন, পলাশবাড়ীর ৩ জন এবং গোবিন্দগঞ্জের ৭ জন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাহফুজার রহমান দৈনিক জাগরণকে বলেন, প্যাথলজি বিভাগের একজনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় তার চার সহকর্মীকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আপাতত কয়েকদিন প্যাথলজি বন্ধ থাকবে।
তবে বহির্বিভাগ সেবা জরুরি বিভাগের ব্লকে নেয়া হবে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) থেকে।
এসএমএম