খুলনায় উপসর্গে মারা যাওয়া ১৪ জনের কারও করোনা ছিল না

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২০, ০৫:২৯ পিএম খুলনায় উপসর্গে মারা যাওয়া ১৪ জনের কারও করোনা ছিল না

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে গত প্রায় এক মাসে মারা গেছে ১৪ জন। তাদের মৃত্যু নিয়ে পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবে জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথা নিয়ে মারা যাওয়া এই ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে, তারা কেউই করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না।

খুমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে গত ২৬ মার্চ মোস্তাহিদুর রহমান রুবেল নামে এক রোগী মারা যান। তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল। ঢাকার আইইডিসিআরে তার নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসে। গত ২৯ মার্চ খুমেক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নড়াইলের কালিয়ার যক্ষ্মায় আক্রান্ত বৃদ্ধ সুলতান শেখ মারা যান।

আইইডিসিআর তখন জানিয়েছিল, তার নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। গত ৬ এপ্রিল রাতে এই হাসপাতালে রূপসা উপজেলার দেবীপুর গ্রামের বৃদ্ধা সালেহা বেগম মারা যান। নমুনা পরীক্ষায় তারও করোনা নেগেটিভ আসে।

গত ৭ এপ্রিল খুমেক হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য পিসিআর ল্যাব চালু করা হয়। এর আগে নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠাতে হতো। এরপর গত ১০ এপ্রিল হাসপাতালের একই ওয়ার্ডে রাফাত নামের ৬ মাসের একটি শিশুর মৃত্যু হয়। নগরীর খালিশপুরের বাসিন্দা এই শিশুটির নমুনা খুমেকের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। 

গত ১৭ এপ্রিল হাসপাতালে নগরীর লবণচরা এলাকার যুবক মো. আসাদুজ্জামান ও রূপসা উপজেলার কাজদিয়া গ্রামের মিতু নামে ১০ বছরের একটি শিশুর মৃত্যু হয়। গত ১৯ এপ্রিল পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার মাসুমা বেগম খুমেক হাসপাতালে এবং খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার নোয়াকাটি গ্রামের ইকরামুল মোল্লা নিজ বাড়িতে মারা যান। গত ২১ এপ্রিল ফুলতলার মিজানুর রহমান ও নগরীর লবণচরা এলাকার ফেরদৌসী আরা খুমেক হাসপাতালে মারা যান। 

গত ২৫ এপ্রিল বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ফামেতা নামের ১৬ মাস বয়সী এক শিশু ও নগরীর আড়ংঘাটা এলাকার অজ্ঞাত পরিচয় এক বৃদ্ধ মারা যান। একই দিন বাগেরহাটের ফকিরহাটের ড্রাইভার কাজী শরিফুল ইসলাম মুক্তার খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ২৮ এপ্রিল খুমেক হাসপাতালে পিরোজপুর জেলা সদরের জুলফিকার আলীর মেয়ে লিমা খাতুন মারা যান।

তাদের মৃত্যুর বিষয়ে খুমেক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের প্রধান ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, এই ওয়ার্ডে যেসব রোগী মারা গেছে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না। অন্যান্য রোগে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে গত ১৯ মার্চ দুপুরে করোনার উপসর্গ নিয়ে খুমেক হাসপাতালে মোংলার বাবলু চৌধুরী মারা যান। ওই দিনরাতে এ হাসপাতালে নড়াইল থেকে আসা রবিউল ইসলাম নামের আরেক রোগী মারা যায়। তখন ওই ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। সমকাল।

এসএমএম   

আরও সংবাদ