যেভাবে র‌্যাবের হাতে আটক বরগুনার ধর্ষণকাণ্ডের হোতা জহিরুল

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ৩, ২০২০, ০৫:০৫ পিএম যেভাবে র‌্যাবের হাতে আটক বরগুনার ধর্ষণকাণ্ডের হোতা জহিরুল
আটক জহিরুল আকন ● জাগরণ

 

অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-৮ এর পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক রইছ উদ্দিন ●  জাগরণ

ঘটনা ২২ এপ্রিলের। কিন্তু বহু টালবাহানা করে চাপে পরে এক সপ্তাহের পর ধর্ষণের মামলা না নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেয় বরগুনা জেলার তালতলী থানা পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর অনেকেই মুখ বুঝে থাকলেও সরব হয়ে উঠে দৈনিক জাগরণসহ কয়েকটি গণমাধ্যম।এরপর আরও সমালোচনায় পরে তালতলী থানা পুলিশ। তারপরেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি পুলিশ। নির্যাতিত গৃহবধূও আশা ছেড়ে দেন সঠিক বিচারের। সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেই অভিযানে নামে র‌্যাব-৮।

শনিবার (২ মে) সন্ধ্যায় এই ঘটনার মুল হোতা জহিরুল আকনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। অভিযানে  নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-৮ এর পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক রইছ উদ্দিন।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল আকন জানায় ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। সে বাদে চারজন ধর্ষণ করেছে ওই গৃহবধূকে।

জহিরুল গ্রেফতার ও গণধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করায় সঠিক বিচার আশা করছেন নির্যাতিত ওই গৃহবধূ। তিনি দৈনিক জাগরণকে বলেন, পুলিশের আচরণে হতাশ হয়ে বিচারের আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, বার বার পুলিশকে জানিয়েছিলেন তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে, তারপরেও পুলিশ তার কথা শোনেনি। তবে র‌্যাবের এমন তৎপরতায় নতুন করে বিচারের আশা করছেন তিনি।

র‌্যাবকে ধন্যবাদ দিয়ে এই ঘটনায় অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেফতার করা আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করেছে তেতুলবাড়িয়া এলাকাবাসী।

র‌্যাব-৮ এর পটুয়াখালী ক্যাম্পের অধিনায়ক রইছ উদ্দিন জানান, ‘বরগুনায় ৭ বছরে কন্যাকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মাকে গণধর্ষণ’ শীর্ষক সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে,  র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারে তৎপরতা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই মামলার অন্যতম আসামী ও মোটরসাইকেল চালক জহুরুল আকনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তারা। আটকতৃত আসামিকে তালতলী থানায় হস্তান্তর করা হয়। অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেফতারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এনএমএইচ/এসএমএম

আরও সংবাদ