ঢাকা, নারায়ণগঞ্জের পর দেশের তৃতীয় হটস্পট এখন চট্টগ্রাম। আক্রান্ত শনাক্ত হবার দেড়মাসের মধ্যে গত এক সপ্তাহেই বেড়েছে ৮০ শতাংশ রোগী।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, অবাধ যাতায়াত আর স্বাস্থ্যবিধি না মানাই এর জন্য দায়ী। এখন সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যত বেশি সম্ভব নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্তদের চিকিৎসা নিশ্চিত করাই জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষা শেষ করতে হবে অল্পসময়েই। না হয় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে অনেক বেশি।
চট্টগ্রামে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। যা অস্বাভাবিকহারে বাড়তে থাকে গত এক সপ্তাহে। এ পর্যন্ত আক্রান্তদের ৮০ ভাগই হয়েছে ৮মের পর। ফলে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের পর দেশের তৃতীয় হটস্পট এখন চট্টগ্রাম।
লকডাউন শিথিল হয়ে পড়েছে। খুলেছে প্রায় সব শিল্প কারখানা। খোলা অফিসও। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সবমিলে আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ার জন্য মোটাদাগে এসব কারণকেই বড় করে দেখছে স্বাস্থ্যবিভাগ।
চট্টগ্রামে ল্যাব বাড়ার সাথে বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যাও। এখন তিনটি ল্যাবে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে গড়ে সাড়ে ৩০০ এর বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংগ্রহের পর দ্রুত নমুনা পরীক্ষা করা জরুরি। পুরো প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে শঙ্কা থাকে সংক্রমণ বেশি ছড়ানোর।
আক্রান্ত বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না চিকিৎসা সুবিধা। অবশ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৯০ শতাংশ রোগীকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া গেলে সংকট সামাল দেয়া সম্ভব।
আক্রান্তদের বেশিরভাগই নগরে। যাদের উল্লেখযোগ্য অংশই পুলিশ সদস্য।
জেলায় সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, পটিয়া, বাঁশখালি, সীতাকুণ্ডে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। চ্যানেলটোয়েন্টিফোর।
এসএমএম