সাঁকো দিয়ে উঠতে হয় সেতুতে!

নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২১, ১২:৫৬ পিএম সাঁকো দিয়ে উঠতে হয় সেতুতে!

সেতু থাকলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় এক বছর ধরে ‘বাঁশের সাঁকো’ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন ওই এলাকার মানুষ।

নাটোরের সিংড়ার লালোর ইউনিয়নের বন্দর-টু-কালীগঞ্জ সড়কসংলগ্ন মাঝগ্রাম-গোপালপুর মসজিদ ও কবরস্থানের কাছে সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এক বছর আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় মাঝগ্রাম-গোপালপুর গ্রামের মানুষদের কংক্রিট সেতুতে উঠতে পার হতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অধীন গ্রামীণ রাস্তায় কম ১৫ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্পের গোপালপুর কবরস্থানের কাছে ৩৬ ফুট সেতু নির্মাণের কাজ পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লোকনাথ এন্টারপ্রাইজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কংক্রিট সেতুর দুই প্রান্তে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশ বেঁধে পারাপার এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনসাধারণকে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে ওই সেতু উঠতে ও পার হতে হচ্ছে।

মাঝগ্রাম-গোপালপুর জামে মসজিদ কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বলেন, বন্যায় দুর্ভোগ লাঘবে চলাচলের জন্য গোপালপুর চুরামনবাটি মৌজায় এক বছর আগে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু সংযোগ সড়ক থাকায় মসজিদ ও কবরস্থানে আসা শতাধিক মুসল্লিকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পরে সেতুর দুই পাশে নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক রফিকুল ইসলামের সহধর্মিণী জলি বেগম বলেন, প্রায় এক বছর হলো সেতু নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। 

মেসার্স লোকনাথ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বিধান সরকার বলেন, সেতুটির নির্মাণকাজ অনেক আগেই শেষ হলেও বরাদ্দ এবং মাটি সমস্যার জন্য সংযোগে মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় লালোর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারের উদাসীনতার কারণে সেতুটি অকেজো হয়ে আছে। বিষয়টি নিয়ে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আর এখানে কোনো মাটির সমস্যা নেই বলে জানান তিনি।

সিংড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল আমিন সরকার জানান, সেতু নির্মাণের প্রায় এক বছর হলেও বরাদ্দ না থাকায় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭ লাখ ২২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। তবে দ্রুতই সেতুর দুই পাড়ে মাটি ভরাটের ব্যবস্থা করা হবে।