ভোলায় ১৪ গ্রামে আগাম রোজা শুরু 

ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২১, ০১:৩৪ পিএম ভোলায় ১৪ গ্রামে আগাম রোজা শুরু 

সৌদি আরবসহ আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবার থেকে ভোলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবারে আগাম রোজা শুরু হয়েছে। 

শরিয়তপুর জেলার নুরিয়া উপজেলার ‘দরবারে আউলিয়ার সুরেশ্বর দরবার’ পীরের মুরিদ ও ভোলা জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত খলিফা মজনু মিয়া জানান, আরবি-রীতি অনুযায়ী দরবারে আউলিয়ার সুরেশ্বর দরবার পীরের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন। সে অনুযায়ী ভোলা জেলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার সোমবার রাতে তারাবির নামাজ আদায় করার পাশাপাশি ভোররাতে সেহেরি শেষে মঙ্গলবার থেকে রোজা রাখা শুরু করেছেন। 

তিনি জানান, আগাম রোজা শুরু হওয়া গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে— ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রতনপুর গ্রাম, বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রাম, তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর, খাসেরহাট, চাঁদপুর ও চাঁচড়া গ্রাম, লালমোহন উপজেলার পৌর শহর, ফরাজগঞ্জ গ্রাম এবং চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহর, দুলারহাট, ঢালচর ও চর পাতিলাসহ ১৪টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার প্রতি বছর একদিন আগে রোজা রাখেন। একদিন আগে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে থাকেন। 

মজনু মিয়া আরো জানান, সুরেশ্বর পীরের মুরিদ ছাড়াও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভান্ডারি শরিফ পীরের মুরিদের পরিবারের সদস্যরা শতাধিক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন। 

সুরেশ্বর পীরের অপর এক মুরিদ বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হারুন অর রশিদ বলেন, “আমাদের মতে পৃথিবীর যে কোন স্থানে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা এবং ঈদ পালন করা যায়। সে অনুযায়ী আমরা প্রতি বছর একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে আসছি।”