মাদারীপুরে লকডাউনের মধ্যেও বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। অথচ করোনার কারণে নৌযান চলাচলই বন্ধ থাকার কথা। জানা গেছে, অবৈধভাবেই চলছিল স্পিডবোটটি। দুর্ঘটনা কবলিত নৌযানটি কোনো নিবন্ধনই ছিল না। পাশাপাশি চালকের ছিল না দক্ষতা সনদ।
শিমুলিয়ার নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্পিডবোটের নিবন্ধন ছিল না। স্পিডবোটের চালক শাহ আলমেরও ছিল না দক্ষতা সনদও। এই নৌরুটের বেশির ভাগ নৌযানের একই অবস্থা বলেও তিনি জানান।
নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সোমবার সকালে মাদারীপুরের শিবচরে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে প্রাণ হারান ২৬ জন। এ দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় স্পিডবোটের চালকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ মে) রাতে শিবচর থানায় মামলাটি করা হয়। মামলা বাদী নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসেন। মামলার আসামিরা হলেন স্পিডবোটের চালক শাহ আলম, মালিক চান্দু মোল্লা ও রেজাউল এবং বোটের ইজারাদার শাহ আলম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক।
দুর্ঘটনা তদন্তে দুপুরে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবেন।