তিন সপ্তাহ পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবারও খুলনার সড়কে চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন। বৃহস্পতিবার (৬ মে) সারাদিন খুলনা জেলার ৬টি রুটে গণপরিবহন চলাচল করেছে। এক জেলার গাড়ি যাচ্ছে না আরেক জেলায়। জেলা সীমানা পার হলেই পড়তে হচ্ছে শস্তির মুখে।
ইকবাল হোসেন নামে এক বাসচালক জানান, তিনি সকাল সোয়া ৯টার দিকে ২৩জন যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরা রুটে খুলনার শেষ সীমানা শুভাসিনির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু বেলা ১১টার দিকে ভুলক্রমে শুভাসিনি পার হয়ে সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে ঢুকে পড়লে পুলিশ তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় পুলিশ যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে তার ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বাসের কাগজপত্র নিয়ে নেয়। তবে, অনেক অনুনয়-বিনয় করার পর পুলিশ পরে গাড়ির কাগজপত্র ফিরিয়ে দেয় বলে তিনি জানান।
খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা জানান, গত ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুধুমাত্র জেলার গাড়ি জেলাতে চলাচল করতে পারবে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলনা-পাইকগাছা, খুলনা-চালনা, খুলনা-মোংলা, খুলনা-শুভাসিনিসহ খুলনা জেলার ৬টি রুটে গণপরিবহন চালু হয়েছে। তিনি বলেন, একটি বাসে সর্বোচ্চ অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার নির্দেশ থাকলেও প্রথম দিন খুব বেশি যাত্রী হয়নি। এমনকি কোনো কোনো বাস মাত্র ৪-৫জন যাত্রী নিয়ে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল ছেড়ে গেছে।
আব্দুল মঈন নামে পাইকগাছার কপিলমুনির একজন বাসযাত্রী বলেন, খুলনা থেকে কপিলমুনির ভাড়া ৭০টাকা। সেখানে ১২০টাকা ভাড়া দিয়ে তাকে কপিলমুনি যেতে হচ্ছে। রজব আলী নামে পাইকগাছার আরেকজন যাত্রী জানান, লকডাউনের আগে পাইকগাছার ভাড়া ছিল ৯০টাকা। সেখানে এখন বাসের কন্ডাক্টররা ১৫০টাকা পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছেন।
খুলনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নূরুল ইসলাম বেবী বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে খুলনার ৬টি রুটে গণপরিবহন চালু হয়েছে। তবে প্রথম দিন কোনো রুটের বাসেই খুব বেশি যাত্রী হয়নি। এমনকি কোনো কোনো বাস সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে মাত্র ২-৩জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।