ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে ধীরে ধীরে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে তিস্তা।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে শুক্রবার (২৮ মে) সকাল ৯টায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যারাজের সব কটি জলকপাট।
জানা গেছে, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ফলে জেলার হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষ। তিস্তা চরের কৃষকের ভুট্টা, কুমড়া, মরিচ, বাদাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
তিস্তাপারের কদম আলী বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি প্রবেশ করছে। এতে জেগে ওঠা তিস্তা চর এখন পানিতে ভরপুর। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা হতে পারে।’’
তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ব্যারাজের সব কটি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।’’