ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিপৎসীমার খুব নিকটে পৌঁছেছে এরই মধ্যে। শনিবার (২৯ মে) বেলা ৩টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
এতে তিস্তা চরের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। নদীর পানি বৃদ্ধিতে তিস্তা চরের কয়েকশ একর জমির পাট, বাদাম, মরিচ, তিল, ধান বীজতলার ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৯টা থেকে থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার (৫২.৪৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর বেলা ৩টার তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার (৫২.৫০ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা সিন্দুর্না, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। এতে কৃষকের পাট, কুমড়া, মরিচ, বাদাম, তিল, ধান বিজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘উজানের পানি ও বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।’’