৭৩ জন কোয়ারেন্টাইনে, ৪ কলোনি লকডাউন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২১, ১১:১২ এএম ৭৩ জন কোয়ারেন্টাইনে, ৪ কলোনি লকডাউন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মৌলভীবাজারে আসা ৭৩ জনকে করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং প্রত্যেকের করোনা টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

এদিকে শহরের পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড়কাপন এলাকায় ৩টি কলোনি ও চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের গুজারাই গ্রামের একটি কলোনি লকডাউন করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ মে) জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, কোয়ারেন্টাইনে রাখা ৭৩ জনের সবাই ফেরিওয়ালা। শহরের বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে তারা ‘হরেক রকম পণ্য’ নামে প্লাস্টিক পণ্য বিক্রি করেন। তারা যেভাবে বাসায় বাসায় পণ্য বিক্রয় করছেন, তাতে করোনা সংক্রমণ ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অনেকেই এসেছেন। তাদের মধ্যে মৌলভীবাজার সদরের বড়কাপন এলাকায় আছেন ৬৩ জন এবং চাঁদনীঘাট এলাকায় আছেন ১০ জন। তাদের এখনো কোনো করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

এদিকে গুজারাইর স্থানীয় লোকজন জানান, সংসদ সদস্য নেছার আহমেদ বিষয়টি জানতে পেরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা লোকজনকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করতে ব্যবস্থা নেন। পরে ওই এলাকার কলোনি লকডাউন করা হয়।

পৌর মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, “চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মৌলভীবাজারে অনেকে এসেছেন। তথ্য পাওয়ার পর তাদের চিহ্নিত করতে তৎপরতা শুরু করি।”

জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন, মডেল থানা-পুলিশ ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে তাদের চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয় বলে তিনি জানান।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আবেদা বেগম বলেন, “৭৩ জনের নুমনা সংগ্রহ করা হবে। ফলাফল হাতে পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

করোনা পজিটিভ হলে ভারতীয় ধন শনাক্তে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে তিনি জানান।

জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৯৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৩১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের।

এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মৌলভীবাজারে আসা ৩৪ জন নাগরিকের করোনার নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জন শনাক্ত হয়।

রোববার (৩০ মে) রাতে মৌলভীবাজার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড়কাপন এলাকায় তিনটি কলোনি ও চাঁদনীঘাট এলাকার গুজারাই গ্রামের একটি কলোনি লকডাউন করা হয়েছে।