চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার আগের সাত গ্রামের সঙ্গে নতুন করে আরো ৯টি গ্রাম ১৪ দিনের ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলাটিতে করোনায় ৭৮ জনের মৃত্যু হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিলো প্রশাসন।
করোনা সংক্রমণ রোধে পুলিশ, বিজিবির সাথে একযোগে কাজ করছেন জনপ্রতিনিধিরা। বন্ধ রাখা হয়েছে ওই এলাকার সব দোকানপাট।
নতুন করে লকডাউনের আওতায় যে গ্রামগুলো আনা হয়েছে দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ঝাঝাডাঙ্গা, নাস্তিপুর, কামারপাড়া, বাড়াদি, ছোট বলদিয়া, বড় বলদিয়া এবং কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি, চাকুলিয়া ও ঠাকুরপুর।
শনিবার (৫ জুন) দামুড়হুদা উপজেলা সভাকক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মনসুর বাবুর সভাপতিত্বে উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দায়িত্বরতদের সাথে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন এমপি হাজী আলী আজগর টগর।
দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু জানান, সীমান্তবর্তী এই এলাকায় হঠাৎ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেড়েছে। আমাদের এই এলাকায় অনেক চুলের কারখানা রয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী চুলের কারখানা ও চায়ের দোকান লকডাউনের সময় বন্ধ থাকবে।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ জানান, শনিবার রাতে দামুড়হুদা উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে এক বৃদ্ধ করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেলে মৃত্যু হয়েছে। এর আগে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
মোহাম্মদ জামাল শুভ আরও জানান, বর্তমানে দামুড়হুদা উপজেলায় ৯৭ জন আক্রান্ত রোগী আছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় ১৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
চলতি মাসের ২ তারিখে সীমান্তঘেঁষা ৭টি গ্রামে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। নতুন করে আরও ৯টি গ্রাম যোগ হওয়ায় মোট গ্রামের সংখ্যা হলো ১৬।