সেতু ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামের মানুষ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২১, ০৩:২৪ পিএম সেতু ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামের মানুষ

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার নোয়াই নদীর ওপর নির্মিত সেতু ভেঙে দুর্ভোগ পড়েছেন ৬ গ্রামের মানুষ। চার বছর ধরে চলছে এ অবস্থা।

সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটির উত্তর পাশের মাটি সরে গিয়ে ভেঙে পানিতে পড়ে গেছে। দীর্ঘদিনেও সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় রেলিং ভেঙে গেছে। নোয়াই নদীর ওপর সেতুটি দিয়ে বিহালী খামার, জাঙ্গালিয়া, সিংদাইর, কাশিনারাসহ ছয় গ্রামের মানুষের চলাচল করে।

গ্রামবাসীর জানান, সেতুটি নির্মাণের পর ছয় থেকে সাত বছর সেতুটি ভালো ছিল। তারপর বন্যায় প্রথমে সেতুর উত্তর পাশের একটি অংশ দেবে গিয়েছিল। সেটা আর মেরামত করা হয়নি। পরের বছর বন্যায় সেতুটি নদীতে দেবে যায়। এরপর থেকে বর্ষায় এক বাঁশের সাঁকো আর শুকনো মৌসুমে চলাচলের জন্য নদীর বুক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে গ্রামবাসী ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

কাশিনারা গ্রামের লোকজন জানান, সেতু ভেঙে যাওয়ায় সমস্যার শেষ নেই। শত শত কৃষক তাঁদের ফসল বাজারে নিতে সমস্যায় পড়েন। বেশি ভাড়া দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে করে কৃষিপণ্য বাজারে নিতে হয়। এই সেতু পার হয়ে ওই সব গ্রামের লোকজন পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলা শহরে যাতায়াত করতেন।

সিংদাইর গ্রামের আবদুল খালেক বলেন, গ্রামগুলোর ৩০০ থেকে ৪০০ শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। অনেক রাস্তা ঘুরে তাদের চলাচল করতে হয়। যানবাহন চলাচল না করায় অনেক সময় দীর্ঘ পথ হাঁটতে হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুসলেম উদ্দিন বলেন, “সেতুটি পুনর্নির্মাণ বা সংস্কারের জন্য আমি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নাগরপুর উপজেলা কার্যালয়ে ঘোরাঘুরি করছি। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান দিতে পারেনি।”

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, “সেতুটি অনেক আগেই ভেঙে গেছে। ভেঙে যাওয়া সেতুটি সংস্কারের সুযোগ নেই। অপসারণের পর নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হবে।”