সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধর করে নিজেকে ছাত্রলীগকর্মী দাবি করেন এক যুবক।
শনিবার (১২ জুন) বেলা সোয়া ১২টার দিকে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মারধরের এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় গেছেন বলে জানা গেছে।
মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সৌরভ চৌধুরী নামের ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সিলেটের টুকের বাজার পীরপুর এলাকার সন্তোষ ঘোষের ছেলে তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার শুরুতে ওই যুবক নিজেকে ছাত্রলীগকর্মী পরিচয় দিয়ে বলেন, “আমি ছাত্রলীগ করি। ফোন দিলে তোর অবস্থা বেহাল হবে।”
সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ বলয়ের কর্মী বলে নিজের পরিচয় দেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, দুপুরে অসংখ্য গাড়ির সারি ছিল চৌহাট্টা এলাকায়। এমন সময় মোটরসাইকেল নিয়ে আগে যাওয়ার চেষ্টা করে একটি অটোরিকশাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন ওই যুবক। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। এভাবেই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরপর এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল আরোহী ওই যুবক কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টকে বেশ কয়েকটি কিল-ঘুষি মারেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা শুনে তাকে আটক করেছি। তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে। আটক যুবকের নাম সৌরভ চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ বলেন, “সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পরিশ্রম করে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা করি আমরা। এজন্য নাগরিক হিসেবে সকলের আইন মেনে চলা এবং আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করা উচিত। আইন প্রয়োগ করার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা খুবই জঘন্য কাজ। ওই যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”