করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যশোর জেলায় কঠোর লকডাউন চলছে। তবে শার্শা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস খোলা থাকার কারণে উপজেলার সামনে যেন বসেছে মানুষের হাট। জমি সক্রান্ত বিভিন্ন কাজে আগত মানুষের মাঝে নেই কোন সামাজিক দূরত্ব, মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি এতে সর্বত্নক ছড়িয়ে পড়ছে করোনার সংক্রমণ।
বৃহস্পতিবার শার্শা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে গিয়ে দেখা যায় কয়েক হাজার মানুষের বিশাল এক হাট। দেখে বোঝারই উপায় নেই যে করোনার মত ভয়ংকর কোন রোগ এই অফিস ঘিরে আছে। জমি ক্রয় বিক্রয় এর এক মহাউৎসবে মেতে উঠেছে শার্শার সর্বস্থরের মানুষ। ২০ জন মিলে ১ জন দলিল লেখককে ঘিরে রেখেছে এ যেন মেলার মাঠে সাপখেলা দেখার মত। কিছু লোকের মুখে মাস্ক থাকলেও বেশির ভাগ মানুষের মাস্ক মুখের থুতনিতে, হাতে এবং কিছু লোক মাস্ক পকেটে নিয়ে ঘুরছেন। সাব রেজিস্ট্রি অফিসের রাস্তার পাশে রয়েছে লোকজনের জন্য খাবার হোটেল। সেখানে হোটেল বয় মাস্কবিহীন রাস্তার এ পাশে এসে জমি ক্রয় বিক্রয়কারী জনগণকে খাবার খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস প্রাঙ্গণ ঘুরেও দেখা গেল একই চিত্র।
সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনে সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এবং সামাজিক দূরত্বকে কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করে গায়ে গা লাগিয়ে চলছে মাস্ক বিহীন দলিল লেখা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের গেটেও মানুষের এত ভিড় যে পা রাখার জায়গা নেই। সকলে অফিসের ভিতরে ঢোকার জন্য চাতক পাখির মত চেয়ে আছে এ যেন মেলায় রথ দেখার অধীর আগ্রহ। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী বা হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা। সব মিলে মনে হচ্ছে করোনার থেকেও শক্তিশালী উপজেলার এই অফিসকে ঘিরে থাকা সকল মানুষ।
যশোর জেলায় গত ২২শে জুন ৫২৭ টি নমুনার মধ্যে ২৫৩টি নমুনা পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পজিটিভ, ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে শার্শা উপজেলায় আক্রান্তের হার অনেক বেশি। যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে আমলে না নিলে যেকোন সময়ে শার্শা করোনার হট-স্পটে পরিণত হতে পারে।এ ব্যাপারে সাব রেজিস্ট্রারের মুঠো ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে শার্শা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাগরণ/এমআর