পাথরঘাটা (বরগুন) সংবাদদাতা
বরগুনার পাথরঘাটায় আয়াতুল্লা এগ্রিকালচার ফার্মে রয়েছে নানান জাতের মৌসুমি ফলের সমাহার। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফল হচ্ছে ৪ কেজি ওজনের জমিদার ফজলি আম। আয়াতুল্লা এগ্রিকালচার ফার্মে ৪ কেজি ওজনের আম ফলেছে খবর ছড়িয়ে পড়লে দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থী ভিড় করছেন। অনেকে এ ফার্ম থেকে ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ ফার্মে আম ছারাও রয়েছে ত্বিন ফল, পাচিমন, আলুবোখারা, করোছল, মৌবাতামী, ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারাসহ অনেক বাহারি রঙের নজরকাড়া ফল। ফার্মটি উপজেলার পৌর শহর থেকে আড়াই কিলোমিটার দুরে পশ্চিমে সদর ইউনিয়নের উত্তর হাতেমপুর গ্রামে। ফার্মটি পরিচালনা করেছেন গ্রামের আসাদুজ্জামান রাসেল।
তিনি উচ্চ শিক্ষা শেষ করে উদ্যোগী হন কৃষিকাজে। বাবার ২৬ বিঘা জমিতে প্রতমবারের মতো চাষ করেন ড্রাগন ফল। তিন বছর ধরে এই ফল বিক্রি করে লাভবান তিনি। এরপর ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার ফার্মে অনেক ফল গাছে ফল ধরেছে। এর মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে আনা আটটি উন্নত জাতের আম গাছে প্রচুর আম ফলেছে। গাছগুলো ছোট হলেও প্রতিটি গাছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি আম ধরেছে। এ ফজলি জাতের আমগুলো প্রতিটি চার থেকে সাড়ে চার কেজি ওজনের হয়েছে। আমগুলো এখনও কাঁচা, আম জাল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।
ফার্মের মালিক রাসেল মিয়া জানান, লেখাপড়া শেষ করে বেকার জীবন কাটাতে হয়েছে। রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোনে দেশ-বিদেশের খবর পড়তাম। এর মধ্যে ইউটিউবে কৃষির ওপর বিভিন্ন ধরনের প্রতিবেদন দেখে শখ করে ড্রাগন চাষ শুরু করি। এতে অনেকটা লাভবান হলে পাশাপাশি অন্য ফলের চাষ শুরু করি। এখন বাগানে নানা প্রকার ফলদ গাছে ফল ধরেছে। ইতোমধ্যে অনেক টাকার ফল বিক্রি করেছি। বেকার জীবন কাটিয়ে এখন লাভের মুখ দেখছি। এ কারণে বাণিজ্যিকভাবেই এই ফার্মটি তৈরি করছি।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল জানান, হাতেমপুর গ্রামের রাসেল এই অঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। আমরা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। এই অঞ্চলে এ ধরনের ফল বাগান আর কোথাও দেখা যাচ্ছে না।