এস.এম. তরুন, ফরিদপুর
লকডাউনের কারণে নিম্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারেরগুলো ভরসা হয়ে দাড়িয়েছে টিসিবি’র পণ্য। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থেকেও পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ তাদের। এদিকে লাইনে দাড়ানো প্রচুর সংখ্যক মানুষকে সামলাতে পুলিশ নিয়োগ করেও হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
ফরিদপুর শহরের হাইস্কুল মার্কেটের সামনে টিসিবি ট্রাক থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে পণ্য বিক্রির সময় এই চিত্র দেখা যায়।
লাইনে দাড়ানো রিক্সা চালক রাসেল জানান, এর আগেও লাইনে দাড়িয়ে ফেরত যেতে হয়েছে। লকডাউনের কারনে রিক্সা চালানো বন্ধ। একটু কম দামে পণ্য পেতে লাইনে দাড়িয়েছে তিনি। কিন্ত লাইনে দাড়ানো মানুষেদের ৩ ভাগের ১ ভাগ মানুষ পণ্য পাবেন, বাকীদের খালী হাতে ফিরে যেতে হবে।
ক্ষুব্ধ্য ব্যবসায়ী আবুল হাশেম জানালেন, কর্তৃপক্ষের উচিত বরাদ্দ বাড়ানো, আশা নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকে মানুষ তারপর পণ্য না পেয়ে ফেরত যাওয়ায়, কার কাছে ভাল লাগবে।
রাহেলা নামে এক শ্রমজীবি নারী জানালেন, আয়-ইনকাম সব বন্ধ, এখান থেকে তেল, চিনি আর ডাল নিয়েছি, কিন্তু ঘরে চাল নেই, চাল ছাড়া কি রান্না করবো? কি খাবো? বাজারে তো চালের অনেক দাম, এখান থেকে যদি কম দামে ব্যবস্থা করে দিতো সরকার।
টিসিবি ডিলারের প্রতিনিধি মো. হুমায়ূন কবীর জানালেন, তারা প্রত্যেককে ৪ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি চিনি ও ২ কেজি করে ডাল দিচ্ছেন। তারা প্রতিদিন ২’শ থেকে ২’শ ১৫ জনকে পণ্য দিতে পারছেন। অনেকে ফেরত যাচ্ছে, কারন তাদের বরাদ্দ কম, সবাইকে পণ্য দিতে পারছেন না তারা।
দায়িত্বরত ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, তারা লাইনে দাড়ানো পণ্য নিতে আসা মানুষদের হুলোস্থল ঠেকানো ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করছেন।