শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমানের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিবাহ দেওয়া ও বিবাহ করানোর লক্ষে বাল্যবিবাহের কাজ পরিচালনা করার অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর ও কনের বাবাকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নকলা ইউনিয়নের ছত্রকোনা এলাকায় কনের বাবার বাড়িতে গিয়ে বিবাবহ বন্ধ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নকলা ইউনিয়নের ছত্রকোনা গ্রামের মো.আব্দুল হাইয়ের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে পার্শ্ববর্তী উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের মো.ছাহের আলীর ছেলে মোবাইল ব্যবসায়ী মো. খলিলুর রহমানের সাথে বিয়ের আয়োজন চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান কনের বাবা মো.আব্দুল হাইয়ের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। তবে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান বিয়ে বাড়িতে পৌঁছার আগেই বরযাত্রীদের খাওয়ানোসহ বিয়ের বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর ও কনের বাবাকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার অর্থদণ্ড করার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না এই মর্মে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের কাছে মুচলেকা নেয়া হয়।
জাগরণ/এমআর