গাইবান্ধায় সন্ত্রাসীদের হামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও গাইবান্ধা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল হাসান লিখন হত্যার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রোববার স্থানীয় পাবলিক লাইব্রেরি হল রুমে লিখনের বন্ধু মহলের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জেলায় পরপর চারটি হত্যাকাণ্ডের সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডের শিকার লিখন। আর এসব প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সাথে মাদক ও সুদকারবারিরা জড়িত। এইসব হত্যাকাণ্ডে যারা পৃষ্টপোষকতা করেন, তাদেরকেও বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করার দাবি জানান লিখনের বন্ধু মহল। আগামী ১২ আগস্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত বা অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হলে গাইবান্ধাবাসীকে নিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও তারা জানান।
উল্লেখ্য গত বুধবার দুপুরের দিকে লিখন হকার্স মার্কেটের পাশের রাস্তায় ডেভিড কোম্পানি পাড়া নিবাসী শরিফের দোকানে আম কিনতে যায়। আম কেনার সময় শরীফের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় লিখনের। এ সময় লিখন বাড়িতে আম রেখে এসে শরীফের সঙ্গে আবারও কথা-কাটাকাটি হলে স্থানীয়রা উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে লিখন জেলা বিএনপি অফিসের সামনে গেলে শরীফসহ আরও কয়েকজন মিলে লিখনকে মারপিট করে। এতে গুরুতর আহত হয় লিখন। এ সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
জাগরণ/এমআর