কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া টু ঢাকা মহাসড়কের কাওনা বাজার এলাকায় নরসুন্দা নদের উপর নির্মাণাধীন সেতু সংলগ্ন ডাইভারসন রাস্তাটি ভেঙে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুই উপজেলার হাজার হাজার পথচারি চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তাই ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন।
হোসেনপুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০ ফুট দৈর্ঘের সেতু নির্মাণের কাজ পায় জেলার এস.আলম নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার পশ্চিম পাশ দিয়ে শুকনা মৌসুমে নদের পানি প্রবাহের জন্য ডাইভারসনের ব্যবস্থা রাখা হয় নাই। অভিজ্ঞদের মতে এ রকম সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে ডাইভারসনে আরসিসি পাইপ অথবা বেইলী দিয়ে গাড়ি পারাপারের ব্যবস্থা রাখতে হয়। কিন্তু কাওনা সেতুতে সে রকম কোন ব্যবস্থা না থাকায় নদের পানি রৃদ্ধি ও কয়েক দিনের বৃষ্টিতে দুর্বল শুধু মাটির ডাইভারসন রাস্তাটি ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিযে দেখা যায়, সেতু নির্মাণের আশপাশে কোন সর্তকমূলক সাইনবোর্ড বা নিরাপত্তা বেষ্টনির ব্যবস্থা নেই। এমন কী কত টাকা ব্যয়ে কোন প্রতিষ্ঠান তা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সে রকম কোন কিছুই দৃষ্টি গোচরে নাই। যে জন্য অনেক অচেনা যাত্রী এ রাস্তায় চলে এসে সেখান থেকে আবার পিছন দিকে ১৫থেকে ২০ কিলোমিটার ঘুরে গিয়ে বিকল্প রাস্তায় পাকুন্দিয়া কিংবা ঢাকার গস্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, গত ৭ দিন ধরে হোসেনপুর –পাকুন্দিয়া সড়কে ভাংগন দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্থানীয়দের উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য আশপাশের বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না। ফলে সবজি নষ্ট হয়ে লোকসান গুণতে হচ্ছে কৃষকদের।এতে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
কিশোরগঞ্জের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আমিনুর রহমান জানান, হোসেনপুর –পাকুন্দিয়া সড়কের যান চলাচল স্বাভিাবিক রাখতে ও দুর্ভোগ লাগবে নদীর পানি প্রবেহের জন্য অতি দ্রুত ভাঙনের স্থানে মোটা আরসিসি পাইপ দিয়ে মাটি ভরাট করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাগরণ/এমআর