কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার ফলে আবারও ব্যস্ত হয়ে উঠেছে প্রবাসী অধ্যুষিত ও পর্যটনের শহর মৌলভীবাজার। খুলেছে দোকানপাট, চলছে গণপরিবহন।
বৃহস্পতিবার জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় সেই ব্যতিব্যস্ত চাঞ্চল্যতা। এ যেনো চিরচেনা রূপে ফিরছে শহর। এসেছে প্রাণের স্পন্দন।
খুলেছে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, শপিংমল, দোকানপাটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘদিন পর অফিস-দোকানপাট খোলায় মানুষজনের যাতায়াত ছিল সকাল থেকেই। কয়েক দফায় কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের পর তা শিথিল হওয়ায় জনসাধারণের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি।
এদিকে শহরের চৌমুহনী, সেন্ট্রালরোড, কোর্টরোড, চাঁদনীঘাট, সমসেরনগররোড, বেরীরপার, পশ্চিমবাজার, কুসুমবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি পয়েন্টে রয়েছে যানজট। একইসঙ্গে রয়েছে পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাফেরা।
এছাড়া শহরের বিভিন্ন সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি পূর্বের মতোই চলছে রিকশা, মটরসাইকেল, সিএনজিচালিত আটোরিকশা। তবে পণ্যবাহীগাড়ির বাড়তি উপস্থিতি দেখা গেছে।
অন্যদিকে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়াতে খুশির কথা জানিয়েছেন পরিবহন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা। ব্যস্ততম ঢাকা-সিলেট বাসস্ট্যান্ডে চলছে দূরপাল্লা ও স্বল্প দূরত্বের গণপরিবহণ। কাউন্টারগুলোতে কর্মচাঞ্চল্যের তৎপরতা দেখা গেলেও, যাত্রীদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি।
এছাড়াও প্রতিটি সড়কের মোড়ে মোড়ে দেখা গেছে মানুষের জটলা। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা ছিলো সাধারণ মানুষদের।
জাগরণ/এমআর