কন্যা একজন। কিন্তু, বর হতে চেয়েছেন দু‘জন। তারা এক কন্যাকেই দিয়েছেন বিয়ের প্রস্তাব। দু‘জনই একই পরিবারের, সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই। কন্যাপক্ষ দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনকে বর হিসেবে পছন্দ ও বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে ঘটে সংঘর্ষ। ঘটনার দুইদিন পর সংঘর্ষে আহত সাহার মিয়া (৩৫) মারা গেছেন। ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের সুপ্রাকান্দি গ্রামে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এব্যাপারে রাজনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুপ্রাকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল হকের দুবাই প্রবাসী ছেলে সাহার মিয়া একই গ্রামের তপু মিয়ার কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এদিকে সাহার মিয়ার চাচাতো ভাই মৃত মনির মিয়ার ছেলে সোয়াই মিয়াও একই কন্যাকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেন।
সোয়াই মিয়ার সঙ্গে বিয়ের কথা পাকাপাকি হওয়ায় বিষয়টি সাহার মিয়া জানতে পারেন। একজনের প্রস্তাবের উপর অন্যজন প্রস্তাব দেওয়ায় সাহার মিয়া স্থানীয় লোকজন জড়ো করে গত সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে বিচারপ্রার্থী হন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের সাহার মিয়াসহ কয়েকজন আহত হন।
আহত সাহার মিয়া প্রথমে রাজনগর ও পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অপরদিকে সোয়াই মিয়ার ভাই সাব্বির আহমদকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, আহত সাহার মিয়া মৌলভীবাজার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু, গত বুধবার দিবাগত রাতে তিনি বাথরুমে গিয়ে ভেতরে পড়ে যান। পরে ঘরের লোকজন তাকে অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না পেয়ে টিনের চালা কেটে তাকে বাথরুম থেকে বের করেন। পরে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ড সন্দেহে সাব্বির মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
এবিষয়ে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।