গত ৭আগস্ট খুলনার রুপসায় ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের দোকানপাট, বাড়িঘর ও মন্দিরের উপর বর্বরোচিত হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে বান্দরবানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে আর এই আয়োজনে পুলিশ বাঁধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আয়োজকরা।
শুক্রবার সকাল ৯টায় বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে বান্দরবানে আর্শীবাদ সংঘ এই মানবন্ধনের আয়োজন করে, এসময় প্রায় শতাধিক সনাতনী নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করে।
এসময় পুলিশের বাঁধায় মানববন্ধন দীর্ঘস্থায়ী করতে না পারলে ও শুধুমাত্র ৩ মিনিট প্রধান সড়কে হাতে হাত ধরে অবস্থান করে সনাতনী সমাজের নেতৃবৃন্দরা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গন ত্যাগ করে। পরে বান্দরবান শ্রী শ্রী সার্বজনীন কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরের সামনে গিয়ে আয়োজকেরা আবার জড়ো হয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং এসময় দেশের বিভিন স্থানে সংখ্যালঘুদের দোকানপাট, বাড়িঘর ও মন্দিরের উপর বর্বরোচিত হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদ জানায় এবং সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের সকল ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
এদিকে বান্দরবান আর্শীবাদ সংঘ এর সাবেক সভাপতি এবং প্রধান আহবায়ক সুমন দাশ বলেন, আমরা মানববন্ধন করতে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করলে ও পুলিশের বাঁধার কারণে ঠিকভাবে মানববন্ধন করতে পারি নাই।
গতকাল রাতে এই মানববন্ধনের আয়োজন নিয়ে পুলিশ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল দাশ, কেন্দ্রিয় দূর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামীলীগ নেতা লক্ষী পদ দাশ ও পৌর সভার প্যানেল মেয়র শেখর দাশকে নিয়ে বৈঠক করেন। এদিকে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মানববন্ধন করার কোন অনুমতি তাদের ছিলনা এবং এই বিষয়ে সনাতনী নেতৃবৃন্ধদের সাথে রাতে আলাপ আলোচনা হয়েছিল এবং তারা মানববন্ধন কর্মসুচী বাতিল করলে ও সকালে কয়েকজন প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হলে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সড়িয়ে দেয়।