শেরপুর জেলা শহরের পৌর উত্তর নবীনগর (রাজবল্লভ পুর) এলাকায় এক সংখ্যালঘুর বাড়ী ভাংচুর ও দুইজন গুরুত্ব আহত হয়ে শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ অবস্থায় নির্যাতিত পরিবার শেরপুর সদর থানায় সুভাষ চন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করলেও দীর্ঘ ১১ দিন অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত বাদীর অভিযোগ খানা আমলে না নেওয়ায় বাদী সুভাষ চন্দ্র দত্ত ন্যায় বিচারের সার্থে বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। সাংবাদিকদের কাছে এমনি অভিযোগ তুলে ধরেন মামলার বাদী।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় যোগাযোগ হলে এস আই সুরেশ রাজবংশী বলেন, গত ৬ আগষ্ট ঘটনার পরেই পুলিশ ঘটনার স্থলে পৌছে বাদী বিবাদী উভয়দ্বয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে যেহেতু বাদী বিবাদী উভয়েই হিন্দু পরিবার তাই বিষয়টি সমযোতা করার জন্য চেষ্টা চলছে কেউ যেনো হয়রানির শিকার না হয় সে কারণেই মামলাটি রেকর্ড হতে বিলম্ব হচ্ছে।
বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার (৬ আগষ্ট) দুপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সুভাষ চন্দ্র দত্তের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ী ঘর ভাংচুরসহ ২ জনকে গুরুত্বর আহত হলে তাদেরকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানাযায, শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নে শ্রীরাম পুর ভাটপাড়া গ্রামের সুভাষ চন্দ্র দত্ত গংরা জেলা শহরে উত্তর নবীনগর রাজবল্লভ পুর এলাকায় জমি ক্রয় করিয়া দীর্ঘ ত্রিশ বছর যাবৎ বাড়ী ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলো সাম্প্রতি কালে একই এলাকার বাসিন্দা সাগর চন্দ্র দত্ত, পিতা.সাধন চন্দ্র দত্ত গংরা সুভাষ চন্দ্র দত্তের বাড়ীর পিছনে অন্য এক মালিকের নিকট থেকে জমি ত্রয় করে এবং জমিদাতা যাতায়াতের জন্য তিন ফুট জমি দেয় তারা কিন্তু সুভাষ চন্দ্র দত্ত গংরা তাদের ক্রয়কৃত জমি দিয়ে চলাচল করলেও জোর করে সাগর চন্দ্র দত্ত গংরা সুভাষ চন্দ্র দত্তের জায়গা জোর করে নেওয়ার চেষ্টা করলে এ বিষয়ে দফায় দফায় সালিশ বৈঠক হলেও সুভাষ চন্দ্র দত্ত গংরা সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানলেও সাগর চন্দ্র দত্ত গংরা সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্তকে বৃর্দাঙ্গলী প্রদর্শন করে ৬ আগষ্ট শুক্রবার পরিকল্পিত ভাবে জেলা শহরে রাজবল্লভ পুর এলাকায় এ তান্ডব চালায় বলে জানা গেছে।