শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি-মাঝিরকান্দি নৌরুটে চলাচলে প্রতিটি লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী পারাপারের কথা থাকলেও ধারণক্ষমতার চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ জন বেশি যাত্রী তোলা হচ্ছে তাও আবার স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই।
এদিকে, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌরুটে সকল ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চে রাজধানি ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলগামী উভয় মুখি যাত্রীর ঢল নেমেছে।
শনিবার সকাল থেকেই লঞ্চে স্বাভাবিকের তুলনায় এমনিতেই যাত্রীর সংখ্যা বেশি। ফলে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই লঞ্চগুলো গাদাগাদি করে মাত্রাঅতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া নৌবন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, পদ্মার পানি বাড়ায় ও উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি পদ্মা নদী হয়ে সমুদ্রের দিকে যাওয়ায় নদীতে তীব্র স্রোতের দেখা দিয়েছে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার থেকে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করেছেন বিআইডব্লিউটিসি'র কর্তৃপক্ষ।
এতে দক্ষিণাঞ্চলের জেলার যাত্রীরা লঞ্চে পদ্মা নদী পার হচ্ছে। যাত্রীর চাপও আরও বেড়েছে। প্রতিটি লঞ্চে ধারণক্ষমতার চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ জন বেশি যাত্রী তোলা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জগামী লঞ্চ যাত্রী জিয়াউল হাসান কবির বলেন, ঘাটের পন্টুনে লঞ্চ ভেড়ামাত্রই সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিটি লঞ্চে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। ১৫০ জনের লঞ্চে ১৮০ থেকে ২০০ জন যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
নদীতে তীব্র স্রোত আর বড় ঢেউ থাকায় ঝুঁকি নিয়েই লঞ্চগুলো চলাচল করছে। এর মধ্যে লঞ্চে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী তোলায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া নৌবন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, এই রুটে ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করছে। ফেরি ও স্পিডবোট চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় লঞ্চে যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। এ কারণে ধারণক্ষমতার চেয়ে সামান্য বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো চলছে। তবে নদীর স্রোত ও পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার বিষয়গুলো মাথায় রেখেই চালকেরা লঞ্চ চলাচল করাচ্ছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ বলেন, ঘাটে নতুন করে কোনো যানবাহন আসছে না। অপেক্ষমান গাড়িও নেই। যেসব গাড়ি শিমুলিয়া ঘাটে আসছে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, গত কয়েক দিনের তুলনায় পদ্মা নদীতে স্রোতের তীব্রতাও বেড়েছে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফেরি চালু হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ।
জাগরণ/এমআর