নওগাঁ পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তাই বর্তমানে বেহাল। শুষ্ক মৌসুমে একটু চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে হাটু পানিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় পৌর বাসিন্দাদের। পৌর সভার ৪নং ওয়ার্ড লাটাপাড়ার। এই ওয়ার্ডের প্রায় কোন রাস্তাই এ যাবত পর্যন্ত পাকা করণ করা হয়নি। ফলে বন্যা আর একটু বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রতিবছর পৌর সভার উন্নয়নের জন্য সরকার যে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সেগুলো কোথায় ব্যয় করা হয় তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নওগাঁ পৌরসভাটি ১৯৮৭ সালে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা লাভ করলেও রাস্তা ঘাট দেখে তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভাও ভাবার কোন অবকাশ নেই বলে মনে করেন এলাকাবাসী। কেননা শুধু ০৪ নং ওয়ার্ডটিই নয়। ১ হতে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে নওগাঁ পৌরসভাটি গঠিত প্রায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের একই সমস্যা বলে জানা যায়।
জানা গেছে, নওগাঁ পৌরসভার আরজী নওগাঁ লাটাপড়া মহল্লায় প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের বসবাস। এই এলাকার বাসিন্দারা প্রথম শ্রেণি র পৌরসভার নাগরিক শুধু পৌর ট্যাক্স ও ভ্যাট দেওয়ার সময়। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার কোন রকম সুযোগ সুবিধা পাননি তারা। ওই মহল্লার কোন রাস্তাঘাট এখন পর্যন্ত পাকা করা হয়নি। নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার পৌর মেয়র বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েও কোন লাভ হয়নি। আবেদন দিতে গেলে তাদের ভাগ্যে মিলে শুধু প্রতিশ্রুতি। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পলিটেকনিক কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীসহ কয়েক শতাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করনের জন্য পৌর মেয়রসহ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন জানান, আমরা নাকি প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক। এটি শুধু কাগজ কলমে বাস্তবে মনে হয় ০৪নং ওয়ার্ড তৃতীয় শ্রেণিরও নিচে। এমন রাস্তা দিয়ে কিভাবে আমরা হেটে চলাচল করবো। একটু বৃষ্টি হলেই এক হিটু পানি আর যেখানে সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়। মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে পায়ের জুতা হাতে নিয়ে যেতে হয়। আমরা এ কষ্ট থেকে রেহাই পেতে চাই। তাই আমাদের দাবী ও এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ওই রাস্তা যেন দ্রুত সংস্কার হয়। বিশেষ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার এ পরিস্থিতি ঘটেছে। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পৌরসভার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিশেষ অনুরোধ করছি এই রাস্তাটির দ্রুত সংস্কারের জন্য।
পৌর মেয়র নজমুল হক সনি বলেন, লাটাপাড়ার রাস্তার ব্যাপারে বহুবার লিখিত আওবদন পেয়েছি। বরাদ্দের অভাবে এখন পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করা সম্ভব হয়নি। এখন পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তার কাজ চলছে। এবার বরাদ্দ পেলেই এই রাস্তার কাজ শুরু করা হবে।
জাগরণ/এমআর