কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর রক্ষা বাঁধে আবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে এই ভাঙন শুরু হয়।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এক ঘণ্টায় ৩০ মিটার ব্লকবাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে। এখনো ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। সেখানে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
এর আগে ১৫ আগষ্ট ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে হাটশ হরিপুর এলাকায় বাঁধের প্রায় ৪০ মিটার ব্লক গড়াই নদীতে বিলীন হয়। ধসে পড়া অংশের পাশেই গ্রামের মানুষের বসতি। ব্লক ধসে পড়ায় একটি বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। এখান থেকে অন্তত ১৫০ মিটার দূরে সেতুর অবস্থান। এর তিন দিন পর ১৮ আগষ্ট ধসে পড়া অংশ থেকে আবারও ভাঙন শুরু হয়। দেড় ঘণ্টায় অন্তত ৪০ মিটার ভেঙে সেতুর দিকে অগ্রসর হয়। এই স্থান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সেতুর অবস্থান।
পাউবো সূত্র বলছে, ১৭ আগষ্ট থেকে সেতু রক্ষা বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়। নয় দিনে অন্তত ১০ হাজার বস্তা ফেলা হয়েছে। বালুর বস্তা ফেলেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দেয়। ১৫ আগষ্ট যেখানে প্রথম ভেঙেছিল, সেই জায়গার ১০ মিটার পূর্ব দিকে এ ভাঙন শুরু হয়। সেখানে পানির নিচ থেকে বুদ্বুদ উঠতে থাকে। একপর্যায়ে ব্লকবাঁধ ভাঙতে থাকে। এ সময় তীরবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ বলেন, একদিকে বালুভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছে, একই সময়ে ভাঙন চলছে। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই।