বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদ সীমার ১৪ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদীর পানিও। ফলে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার নীচু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এসব এলাকার রোপা আমনসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে নদী অববাহিকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ। গ্রামীন কাচ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে মানুষজন।
শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে ভারতের কয়েক রাজ্যে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বড়াই বাড়ি গ্রামের মুকুল মিয়া বলেন, কয়দিন আগে আমার রোপা আমন খেতে পানি উঠে দুদিন পর নেমে যায়। হঠাৎ আবার গতকাল থেকে ধরলা পানি বৃদ্ধি পেয়ে আবারও আমার তিন বিঘা জমির আমন আবাদ ডুবে গেলে। খুব একটা দুশ্চিন্তায় আছি যদি আমার আবাদ নষ্ট হয়ে যায়।
উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন বলেন, দুদিন থেকে আবার পানি বৃদ্ধির ফলে আমার ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। তাছাড়াও শত শত বিঘা জমির ফসলি আবাদ ডুবে গেছে। দ্রুত জমি থেকে পানি নেমে না গেলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে এখানকার কৃষকরা।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাঈদুর রহমান বলেন, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে কিছু পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। তবে কতগুলো পরিবার পানি বন্দী হয়েছেন খবর নিতে গ্রাম পুলিশকে পাঠিয়েছি। সন্ধ্যায় বিস্তারিত জানাতে পারবো।