মা জীবিত থেকেও মৃত। এমন পরিস্থিতিতে, বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন ছেলে। শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামে।
নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজের তথ্যমতে প্রায় ৩ বছর আগে থেকেই মৃত দেখানো হয় তারাপাশা গ্রামের ব্যবসায়ী লিটন দেবের মা গীতা রানী দেবকে।
জীবিত হয়েও এনআইডির ডাটাবেজে নিজের মায়ের নাম মৃতের তালিকায় দেখে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন ছেলে। পারছে না করোনার টিকার নিবন্ধন করতে। বিপাকে পড়ে একমাত্র ছেলে ছুটছেন ইউনিয়ন অফিস থেকে উপজেলা ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে।
তারাপাশা গ্রামের বাসিন্দা লিটন দেব বলেন, মাকে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে বিপাকে পড়ি। তথ্য আপলোড না হওয়ায় প্রথম ভেবেছিলাম সার্ভার ডাউন। পরপর দুদিন চেষ্টা করে যাই উপজেলা নির্বাচন অফিসে। সেখানে গিয়ে জানতে পারি প্রায় ৩ বছর আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজের তথ্যে মায়ের নাম মৃতের তালিকায় রয়েছে।
নিজের মা ‘জীবিত’ আছেন, তা প্রমাণ করতে বিভিন্ন স্থানে ঘুরেও কোন সুরাহা এখনো করতে পারছেন না। এ কারণে জীবিত মায়ের জন্য করোনা টিকার নিবন্ধন করাও যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।
মাকে জীবিত প্রমাণ করতে ছেলে ঘুরছেন জেলা, উপজেলা নির্বাচন অফিস, ইউনিয়ন কার্যালয়সহ নানা স্থানে। বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হওয়ায় দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান স্বজনরা।
লিটল দেবের নিকটাত্মীয় প্রতিবেশী মৃদুল দেব জানান, জীবিত থাকার পরও মৃত হওয়ায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে ভুক্তভোগীকে। বঞ্চিত হবেন রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে।
এ বিষয়ে কামারচাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিম জানান, এটা একটা বিভ্রান্তি। ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গেলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেয়ার কথা বলা হয়েছে। আমি সে অনুযায়ী তাদের যাবতীয় কাগজপত্র প্রদান করবো এবং সবধরনের সহযোগিতা করবো।
জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে মাঝে মাঝে আমাদের বিব্রত হতে হয়। আমরা শীঘ্রই চেষ্টা করবো সমস্যা সমাধানের।
জাগরণ/এমআর