সড়কে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগ 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২১, ০৯:৩২ এএম সড়কে ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগ 

টাঙ্গাইলের বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় ৩০ টি গ্রামের মানুষ। গতকাল শনিবার বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়কের পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া গারামাড়া বিলের সড়কটি ভেঙে যায়। 

জানা যায়, গত বছর বন্যায় পানির স্রোতে বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়কের বাসাইল পৌরসভার বাসাইল দক্ষিণপাড়ায় গারামারা বিল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত একটি কালভার্ট ভেঙে যায়। এরপর শুকনো মৌসুমে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প দিয়ে ওই জায়গায় মাটি ভরাট করা হয়। পরে শনিবার সকালে সড়কটি পানির স্রোতে ভেঙে যায়। ফলে বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ও হাবলা ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষের উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়কটি ব্যবহার করে বাসাইল উপজেলাবাসী মির্জাপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার সাথে খুব সহজে যোগাযোগ করেন। এছাড়াও এসব এলাকার মানুষ খুব দ্রুতই ঢাকায় যেতে পারতেন। কিন্ত সড়কটি আবার ভেঙে যাওয়ায় এসব এলাকার মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। এ সড়ক দিয়ে বাসাইল উপজেলার আদাজান, কাঞ্চনপুর, বিলপাড়া, হাবলা, মির্জাপুর উপজেলার কুর্নী, ফতেপুর, পাটখাগুড়ী, মহেড়া, ভাতকুড়া, আদাবাড়ি এবং দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়া, বর্নীসহ  বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বাসাইল উপজেলার যোগাযোগ করে।

অন্যদিকে সড়কটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হিসেবে ব্যবহার হতো। এই বাঁধ ভেঙে উপজেলার কাঞ্চনপুর ছনকা পাড়াসহ অন্তত ১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় এক শত পরিবার।

সড়কের চালকরা বলেন, এ সড়ক দিয়ে আমরা গাড়ি চালাই। সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গাড়ি চালাতে পারছি না।পথচারীরা বলেন, সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ন। চলাচলের জন্য এখানে দ্রুত একটি বেইলি সেতু স্থাপন করা দরকার। 

উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ খান জানান, এটা বাসাইল পৌরসভার আওতায় পড়েছে। কিন্তু আমার ইউনিয়ন ও হাবলা ইউনিয়নের মানুষ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করেন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষের উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বাসাইল পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম আহমেদ বলেন, সড়কটি এলজিইডির অধীনে। এরআগে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ মাটি ভরাট করে দিয়েছিল। পরে আবার ভেঙে গেছে। সেখানে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

জাগরণ/এমআর