দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ঘরবাড়ি, দোকানপাট, জায়গা জমির সঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকশ পরিবারের স্বপ্ন। ভিটেমাটি হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব। পাড়ি জমিয়েছেন দেশের বিভিন্ন এলাকায়। করছেন মানবেতর জীবনযাপন। নদীভাঙন থেকে এখন পর্যন্ত রক্ষা পাওয়া হাজিরহাট লঞ্চঘাট এলাকার সুখী পরিবারগুলোর বর্তমানে দিন কাটছে চরম আতঙ্কে। ওই এলাকার শত শত পরিবারের নামাজ আদায়ের জন্য গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী বায়তুল ফজল জামে মসজিদটি দীর্ঘদিনের ভাঙনে এখন চরম হুমকির মুখে।
২০১৯ সালের ১৫ জুন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক পরিদর্শন করে মসজিদ প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকা রক্ষায় তাৎক্ষনিক ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। জিও ব্যাগ ফেলায় ভাঙন কিছুটা কমলেও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মসজিদ প্রাঙ্গণের আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় । চলতি বর্ষা মৌসুমে আবার নতুন করে শুরুহয়েছে মসজিদটির ভাঙন। ইতিমধ্যে মসজিদের বিভিন্ন অংশ তেতুঁলিয়া নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। মসজিদের মূল অংশটুকু বিলীনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লিরা ও স্থানীয়রা বিভিন্নভাবে ভাঙন রক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেলেও কোন কিছুতেই কোন কাজ হচ্ছে না। প্রতিদিন ভাঙন আতঙ্ক নিয়ে নামাজ পড়তে আসেন মুসুল্লিরা। বিভিন্ন দপ্তরে বহু আবেদন নিবেদন করেও কোন সুফল পাননি বলে দাবি স্থানীয় মুসুল্লিদের। তারা দ্রুত মসজিদটি রক্ষার জন্য আকুতি জানিয়েছেন।
হাজিরহাট লঞ্চঘাট বায়তুল ফজল জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ ক্বারী ওবায়দুল হোসাইন জানান, হাজিরহাট লঞ্চঘাট বায়তুল ফজল জামে মসজিদটি একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। নামাজের সময় মুসুল্লিরা আতঙ্কে থাকেন। এই বুঝি মসজিদটি ভেঙে নদীতে চলে যাবে । তিনি, মসজিদটি রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন ।
পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি এস এম শাহজাদা জানান, সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি। খুব দ্রুত হাজিরহাট লঞ্চঘাট এলাকার মসজিদটি রক্ষায় কাজ শুরু করা হবে।
জাগরণ/এমআর