এটা স্টেডিয়াম, না গো-চারণ ভূমি? 

বাগেরহাট (মোংলা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১, ১২:০৯ পিএম এটা স্টেডিয়াম, না গো-চারণ ভূমি? 

জসিম উদ্দিন,মোংলা 
সমুদ্র বন্দর মোংলায় শেখ রাসেল স্টেডিয়ামটি ভরে গেছে কাশবনে। দীর্ঘদিন এই স্টেডিয়ামে খেলাধুলা না হওয়ায় আর পরিচর্যার অভাবে পুরো মাঠ কাশবনে ছেয়ে গেছে। স্থানীয়রা এখন প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন শতাধিক গরুকে ঘাঁস খাওয়াচ্ছে স্টেডিয়ামের মাঠে। দেখে মনে হবে এ যেন এক গোচরণ ভূমি।

গতকাল রোববার স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। বৃষ্টিতে ভিজে তালায় মরিচা ধরেছে। ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, ঘন কাশবনে প্রায় আড়াল হয়ে গেছে স্টেডিয়ামে প্লেয়ারদের জন্য তৈরি ড্রেসিং রুমটিও। দর্শকদের বসার জন্য সিমেন্টর তৈরি  করা বেঞ্চ গুলো অধিকাংশই কাশবনে আড়াল হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্ধা আবু তালেব,মহি উদ্দিন,রজিনা বেগনসহ কয়েকজন প্রায় শতাধিক গরু মাঠে ছেড়ে দিয়ে ঘাস খাওয়াচ্ছেন। তারা জানান, দির্ঘ দিন এখানে কোন খেলাধুলা হয়না তাই অনেক ঘাস জমেছে। তাদের গরু গুলো ঘাস খাওয়াতে প্রতিদিন সকালে স্টেডিয়ামের মাঠে নিয়ে আসেন আর সন্ধ্যা হলে নিয়ে যান।
 
মোংলা উপজেলা ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম আর রানা জানান, স্টেডিয়ামে সব সময় খেলাধুলার ব্যবস্থা আর পরিষ্কার পরিছন্নতার ব্যবস্থা করা হলে এভাবে কাশবন জন্মানোর সুযোগ থাকত না।তিনি জানান, স্টেডিয়ামটি খেলার অনউপযোগী থাকায় স্থানীয় যুবক আর স্কুল কলেজের ছাত্ররা এখন স্টেডিয়ামের  পাশ্বে নদীর চরে খেলাধুলা করেন।আর স্থানীয় ক্লাব গুলো মাঠের অভাবে টুর্র্ণামেন্টয়ের আয়োজন করতে পারছেন না।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার সিরাজুল ইসলাম জানান, স্টেডিয়ামটি তৈরি  হওয়ায পর  তারা বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ,বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্ণমেন্টসহ নানা খেলার আয়োজন করেছেন এ মাঠে। ব্যাটমিন্টন,ভলিবলসহ নানা খেলায় দেশ সেরা ও রানার্স আপ হয়েছেন মোংলার ছেলে মেয়েরা। তবে জাতীয় ক্রিড়া পরিষদ থেকে প্রতি বছর পঞ্চাশ হাজার টাকা তারা পেয়ে থাকেন। ওই সিমিত অর্থ দিয়ে মাঠ পরিচর্যা আর খেলার আয়োজন করতে পারছেন না তারা। তাই সরকারী বরাদ্ধ আরো বাড়ানোর দাবি করেন তিনি।

মোংলা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানান, অর্থ বরাদ্দ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।  আগামী এক মাসের মধ্যে মাঠখেলার উপযোগী করে খেলাধুলার আয়োজন করা হবে।

মোংলা পৌর শহরের মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশ্বে পশুর নদীর ত্রিমোহনার কাছাকাছি  এলাকায় দৃষ্টি নন্দন স্থানে ২০১৭সালের ২৪ অক্টোবর পাঁচ একর জমির ওপর নির্মিত হয় শেখ রাসেল স্টেডিয়ামটি। তবে স্টেডিয়ামটিতে এখনো পূর্ণাঙ্গ গ্যালারী বা প্যাভিলিয়ন তৈরি  হয়নি।এটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্বাবধানে রয়েছে।

জাগরণ/এমআর