কাজল আর্য, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। তবে সপ্তাহ ধরে মানুষ পানিবন্দি হলেও পায়নি তেমনটা ত্রাণ সহায়তা। এদিকে বসত ঘরে পানি উঠায় বিষাক্ত সাঁপের আতঙ্কে রাত পার করছেন তারা। বন্যার পানিতে টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনা খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া ঘোষপাড়া এলাকায় যায় যমুনা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে ঘনবসতি ওই এলাকায় ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে নাটমন্দির, দূর্গা মন্দির ও গীতা স্কুল নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পানিবন্দি হওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোন ত্রাণ সহায়তা পায়নি বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
উপজেলার চরাঞ্চল গাবসারা, অজূর্না ইউনিয়ন ছাড়াও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি। বন্যার পানি বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বন্যার পানি নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে উপজেলার কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ি, ভালকুটিয়া ও চিতুলিয়াপাড়া এলাকার যমুনা নদীতে। এতে ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন শতাধিক পরিবার।
অনেকে জানান, ৫ দিন ধরে ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। আশপাশের রাস্তাগুলোও তলিয়ে যাওয়ায় ঘর থেকে বের হতে না পারায় আয়-উপার্জনও নেই। ফলে কষ্টে দিন পাড় করতে হচ্ছে। কেউ এখন পর্যন্ত কোন খোঁজ নেয়নি। যমুনা নদীর পানি বৃৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু জানান বন্যায় মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বলেন, বন্যার পানি নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় উপজেলায় প্রায় দুইশ হেক্টর জমিতে রোপন করা রোপা আমনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবছর আগেই রোপা আমনের আবাদ শুরু করায় এবং পানি প্রবেশ করে এমন ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার জন্য এখন পর্যন্ত কোন সরকারি বরাদ্দ পাই নি। পেলে ৎ্রাণ সহযোগিতা করা হবে।