পদ্মায় প্রতিদিনই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ২৪ ঘন্টায় পদ্মার পানি ৩ সে.মি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদ সিমার ৫২ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পদ্মার নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত হয়ে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম, উজানচড় ও ছোটভাকলা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। দৌলতদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, তার ইউনিয়নে ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬ টি ওয়ার্ডের ৪ হাজার পরিবারের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি। এখন এসব এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। এ পর্যন্ত এ ইউনিয়নে ১ ও ৩ নং ওয়ার্ডে ৮ শত পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ত্রাণের চাল বিতরণ করতে পেরেছেন। আরো প্লাবিত এলাকার তালিকা করে উপজেলাতে পাঠিয়েছেন, সহযোগীতা পেলে এসব বন্যার্ত মানুষদের ত্রান সামগ্রী দেওয়া হবে।
গোয়ালন্দ উপজেলার চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ উপজেলাতে এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার মানুষকে ত্রাণের চাল বিতরণ করা হয়েছে। জেলার ১৩ টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি। দুর্গত অনেক স্থানে ঘরের ভেতর পানি উঠেছে। এতে এখানকার বসবাসকারী মানুষের অনেক কষ্ঠে রয়েছেন।
নিচু এলাকায় রোপা আমন ধান, বাদাম, সবজি সহ নানা ধরনের ফসল তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। কিছু কিছু মানুষ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় মানুষের শরীরে ঘা, পচড়া সহ বিশুদ্ধ খাবার পানির ও গবাদি পশুর খাবারের অভাব দেখা দেখা দিয়েছে। অনেকের ঘরে খাবার না থাকায় কষ্টে দিন কাটছে বন্যার্ত এসব অঞ্চলের জনসাধারণের।